রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৮)
![Image](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrKQZ-udXvYWfKiT-bscjvZFnaDpasm33Iodc77bn-XKrL4JOgwQ4ahAZldPoGW5Y64wFzCKzffJiGRaZg4ia1hvEYdXVrBaic_gB4eGCI-OugDFdG7BLXhREanrVdI6NELcP3VsuqIDk/s320/food-2203732_1920.jpg)
ভোর বেলা ওরা বিছানাকান্দি পৌঁছায়। নিশুতি তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রায়াণ গাড়ির ইঞ্জিন অফ করে এক দৃষ্টিতে নিশুতির দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রায়ান কোনোদিনও ভাবেনি এভাবে একান্তে নিশুতির সাথে থাকার সুযোগ মিলবে কোনোদিন! ভাগ্য মানুষ কে কোথা থেকে কোথায় টেনে নিয়ে যায় তা ভাগ্য নির্মাতা ছাড়া আর কেউই বলতে পারেনা। প্রায়াণ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে যেন এই মেয়েটাকে সবদিক থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে। তারপর হালকা গলায় ডাকে, --------নিশুতি.. নিশুতি নড়ে উঠে। কিন্তু পুরোপুরি ঘুম ভাঙে না। প্রায়াণ আবারো ক্ষীণ আওয়াজে ডাকে, ---------এই নিশুতি.. নিশুতি "উম উম" করে। প্রায়াণকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেয়। তারপর সিটের অন্যদিকে ঘুরে আবার ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। প্রায়াণ হেসে কুটিকুটি হয় নিশুতির অবস্থা দেখে। কে বলবে এই মেয়ের বয়স ১৯ কি ২০! একদম ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে যেন! প্রায়াণের ইচ্ছে করে নিশুতির খোলা কপালে তার অধর স্পর্শ তুলে দিতে। নিশুতির বাহুতে একটা গুতো মারে প্রায়াণ। নাহ! কোনো হুশ নেই তার। ভুস ভুস করে ঘুমাচ্ছে নিশুতি। প্রায়াণ মৃদু হেসে নিশুতির কপালের কাছে মুখ নেয় তার। তারপর.... ১ সেক