Posts

Showing posts from January, 2020

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৮)

Image
ভোর বেলা ওরা বিছানাকান্দি পৌঁছায়। নিশুতি তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রায়াণ গাড়ির ইঞ্জিন অফ করে এক দৃষ্টিতে নিশুতির দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রায়ান কোনোদিনও ভাবেনি এভাবে একান্তে নিশুতির সাথে থাকার সুযোগ মিলবে কোনোদিন! ভাগ্য মানুষ কে কোথা থেকে কোথায় টেনে নিয়ে যায় তা ভাগ্য নির্মাতা ছাড়া আর কেউই বলতে পারেনা। প্রায়াণ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে যেন এই মেয়েটাকে সবদিক থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে। তারপর হালকা গলায় ডাকে, --------নিশুতি.. নিশুতি নড়ে উঠে। কিন্তু পুরোপুরি ঘুম ভাঙে না। প্রায়াণ আবারো ক্ষীণ আওয়াজে ডাকে, ---------এই নিশুতি.. নিশুতি "উম উম" করে। প্রায়াণকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেয়। তারপর সিটের অন্যদিকে ঘুরে আবার ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। প্রায়াণ হেসে কুটিকুটি হয় নিশুতির অবস্থা দেখে। কে বলবে এই মেয়ের বয়স ১৯ কি ২০! একদম ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে যেন! প্রায়াণের ইচ্ছে করে নিশুতির খোলা কপালে তার অধর স্পর্শ তুলে দিতে। নিশুতির বাহুতে একটা গুতো মারে প্রায়াণ। নাহ! কোনো হুশ নেই তার। ভুস ভুস করে ঘুমাচ্ছে নিশুতি। প্রায়াণ মৃদু হেসে নিশুতির কপালের কাছে মুখ নেয় তার। তারপর.... ১ সেক

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৭)

Image
রাতের বেলা...... বারান্দার ঠান্ডা ফ্লোরে বরফের মতো জমে বসে আছে নিশুতি। ইফতি ভাতের প্লেট নিয়ে আসে। নিশুতির ঠিক পাশ ঘেঁষে বসে। ---------ভাত খাবিনা? নিশুতি দু হাটুর উপরে মুখ রেখে বলে, ---------ইচ্ছে করছে না ভাই। আজকে প্লিজ জোর করিস না। ইফতি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাতের প্লেট খানা দূরে সরিয়ে রাখে। --------তুই কি তাহলে মনে মনে ডিসিশন নিয়েই নিয়েছিস এই বিয়েটা করার?? নিশুতি উত্তরে কিছু বলে না। চুপ করে থাকে। ইফতি খানিকক্ষণ নিশুতির দিকে তাকিয়ে থেকে অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার। আলগোছে চোখে জমা পানি মুছে নেয় ইফতি। তারপর গম্ভীরমুখে নিশুতির দিকে তাকিয়ে বলে, ---------আমাকে কতটা ভালোবাসিস?? নিশুতি হাটু থেকে মুখ তুলে ইফতির দিকে তাকায়। মুখে শুকনো হাসি ফুটিয়ে বলে, ---------যতটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না ততটা। ইফতিও একটুখানি হাসে নিশুতির কথা শুনে। --------তাহলে আমি একটা অনুরোধ করবি রাখবি?? --------হুম চেষ্টা করবো বল। --------দাড়া আসতেছি। নিশুতিকে বারান্দায় বসিয়ে রেখে ইফতি ভেতরের রুমে যায়। দু মিনিট পর একটা ছোট ব্যাগ হাতে নিয়ে আসে। --------কি এটা ভাই

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৬)

Image
---------তাহলে তোমার কথাই রইলো শারমিন। দুদিনের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে এই মেয়েকে ঘর ছাড়া করবো আমি। আজহার হোসেন শেষের লাইনটা চেঁচিয়ে বলেন। নিজের রুমে থেকেও স্পষ্ট শুনতে পায় তা নিশুতি ইফতি। নিশুতি চিন্তায় আড়ষ্ট হয়ে আছে। জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে বিছানার এক কোণে। ইফতির মাথাটা ঝিমঝিম করছে রাগে। নিজের মায়ের প্রতিই ঘৃণা লাগছে তার। নিশুতি তার পেটের সন্তান না হোক,পিঠের তো! এতটুকুও কি দয়া মায়া নেই ওর প্রতি? ইফতি বিছানার চাদর খাঁমচে ধরে। নিশুতির দিকে তাকিয়ে তেজী গলায় বলে, --------তুই যেয়ে কিছু বলবি নাকি আমি কিছু বলবো? নিশুতি দুর্বল গলায় বলে, --------এদের কে বলে কিছু হবে বলে মনে হয় তোর? ইফতি বিছানা ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলে, ---------তাহলে তুই বসে থাক। আমি যাচ্ছি।আমিই যা বলার বলবো। নিশুতি ইফতির দিকে এগিয়ে এসে বলে, --------আর কত লড়বি আমার জন্য? বাদ দে ভাই। কপালে যা আছে আমার তাই হবে। নিজেকে নিয়ে আমি আর ভাবি না। ইফতি চেঁচিয়ে বলে, -------কিন্তু আমি তো ভাবি। আমি তোকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবি এবং ভাববো আজীবন। তুই একদম চুপ থাক । আমাকে ভুলভাল বুঝিয়ে আটকাতে আসবি না। বালের কপাল!!! আমি যাচ্ছি। ইফতি রুম থেকে বেরি

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৫)

Image
ভোর সকাল। ফজরের আজান পড়বে আর কিছুক্ষণের ভেতরেই। প্রায়াণ ধিমি পায়ে মিনু শেখের রুমে ঢোকে। জালাল শেখ আর মিনু শেখ দুজনেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রায়াণ এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ তাকে দেখছে কিনা কোথা থেকে। নাহ কেউ নেই,আর থাকবেও না। এত সকালে কেইবা উঠবে তার বাড়ির! প্রায়াণ সময় নষ্ট করে না। দ্রুত দ্রুত কাজ সাড়ে। প্রথমে বিছানার পাশের ছোট টেবিলের উপর রাখা জগ থেকে সমস্ত পানি নিচে ঢেলে জগ উল্টো করে রাখে। মিনু শেখের বাসায় হাটার জুতা জোড়ার একটা মিনু শেখের সিথানের কাছে রাখে প্রায়াণ। বইয়ের তাক থেকে এক এক করে সব বই নিচে এলোমেলো করে রাখে তবে নিঃশব্দে। জানালার পর্দার বাম পাশ টা ব্লেড দিয়ে একটুখানি কেটে টান মারতেই ফরফর করে ছিড়ে যায়। প্রায়াণ আৎকে উঠে তার বাবা মায়ের দিকে তাকায়। না,তারা এখনো ঘুম। উঠে নি শব্দে। প্রায়াণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তারপর চুপ করে বেরিয়ে পড়ে রুম থেকে। আর খানিকবাদেই আজান পড়বে তখন তার মা ও বাবা দুজনেই নামাজের জন্য উঠবে। প্রায়াণ সেই মুহুর্তের অপেক্ষায় থাকে। . নিজের রুমে গিয়ে কান খাড়া করে বসে থাকে প্রায়াণ। আজান হয়। ৫ মিনিট কেটে যায়। হঠাৎ ভেসে আসে প্রায়াণের মায়ের চিৎকার। প্রায়াণের মু

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৪)

Image
মিনু শেখের মেজাজ ভীষণ গরম হয়ে আছে। কম হলেও ৬-৭ বার ডেকেছে প্রায়াণ কে। কিন্তু তার উঠার নাম নেই। যখন ডাকে তখন একটু নড়েচড়ে উঠে। এরপর যেই লাউ সেই কদু...! আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। আজকে ভার্সিটিতে পরীক্ষা আছে ছেলেটার অথচ কোনোভাবেই উঠাতে পারছে না একে!! প্রেমা আসে। বলে, -------মা তুমি যাও। আমি তুলে দিচ্ছি ভাইয়া কে। মিনু শেখ কপাল কুঁচকে বলেন, --------আমিই যখন পারতেছি না তুই কিভাবে পারবি? --------সে আমার ব্যাপার। তুমি যাও না,আমি তুলে দিবো প্রমিস। মিনু শেখ খানিকক্ষণ প্রেমার দিকে ভ্রু উঁচিয়ে তাকিয়ে তারপর রুম থেকে বেরিয়ে যান। প্রেমা স্মিত হেসে নিজের মুখ টা প্রায়াণের কানের কাছে নিয়ে বলে, --------নিশুতি এসেছে ভাইয়া। রঙ চা নিয়ে, খাবে না?? কথাটা যেন কারেন্টের মতো খেলে যায় প্রায়াণের মস্তিষ্কে। এক লাফে উঠে বসে বিছানায়। প্রেমা হোহো করে হেসে উঠে। প্রায়াণ ব্যস্ত গলায় বলে, -------কই? কোথায় এসেছে? -------এসেছ তোমার স্বপ্নে!! উঠছিলে না তাই এই টেকনিক ইউজ করলাম। এবার উঠো। তোমার না আজকে পরীক্ষা? প্রায়াণ রেগে যায়। বালিশ ছুড়ে মারে প্রেমার মুখের উপর। -------তোর থোবরা টা ভেঙে দেওয়া উচিত বুঝলি?

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৩)

Image
সন্ধ্যা হতেই নিশুতিদের বাসায় বিচার বসে। সেখানে শারমিন হোসেন, নিশুতির বাবা আজহার হোসেন এবং নিশুতির ছোট কাকা নাসির হোসেন উপস্তিত আছে। প্রায়াণের আম্মু ও প্রায়াণও আছে। বিচার মূলত শারমিনের নামে। ইফতিই তার মায়ের নামে বিচার বসিয়েছে। নিশুতি এক কোণায় চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। ভীষণ ভয় হচ্ছে তার। সে ইফতিকে বলেছিল এসব বিচার টিচার না বসাতে। এর প্রভাব পরবর্তীতে যদি তার উপরেই পড়ে তখন?? ইফতি সকল কে উদ্দেশ্য করে বলে, ---------আম্মু আজকে সকালে নিশুতি আপুকে ভীষণ মেরেছে। মিনু আন্টি এসে না ছাড়ালে আজকে আপুকে মেরেই ফেলতো। আজহার হোসেন বলেন, -------নিশ্চয়ই কোনো কারনেই মেরেছে। ইফতি রাগী গলায় বলে, --------হুম। কারনেই মেরেছে। তার কারন আপু নাকি স্নুপিকে মাংসের টুকরো খাইয়েছে যা আম্মু নিজের খাওয়ার জন্য রেখেছিল। আজহার হোসেন নিশুতির দিকে ফিরে কপাল কুঁচকে বলেন, --------তাহলে তো ঠিকই আছে। এত বড় আকাম করছে ক্যান? আমি টাকা দিয়া মুরগী কিনি ওর কুত্তারে খাওয়ানোর জন্য?? নাসির হোসেন কথার মাঝে ফোড়ন কাটেন। বলেন, --------আগে ইফতির পুরো কথা তো শুনে নেন ছোট্ট ভাই। নিশ্চয়ই জটিল কিছু হয়েছে, নয়তো সেই মিরপুর ১১ থেকে আ

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ২)

Image
সকাল সকাল চেঁচামেচির শব্দে প্রায়াণের ঘুম ভেঙে যায়। ভার্সিটি না থাকলে সে সচরাচর সকাল ১০ টার আগে ঘুম থেকে উঠে না। তার উপর এখন শীতকাল। এখন তো সকাল সকাল উঠার মানেই হয়না। বোমা মেরেও কেউ প্রায়াণ কে সকাল বেলায় উঠাতে পারবে না। অথচ,এখন নিজে থেকেই উঠতে হচ্ছে!! প্রায়াণ একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে। চওড়া গলায় ডাকে প্রেমা কে। ------------প্রেমা....প্রেমা....এই কুত্তি...!! প্রেমা চা বানাচ্ছিল। খুন্তি নিয়ে প্রায়াণের রুমে ঢোকে। ---------সমস্যা কী তোমার ভাইয়া!! আর আমি কুত্তি? তবে তুমি কি? প্রায়াণ ভাব নিয়ে বলে, ----------আমি ভালো মানুষ। ----------ওরে! আসছে আমার ভালো মানুষ! তোমার মতো বদ দুনিয়াতে আর একটাও নাই। প্রায়াণ চোখ গরম করে বলে, ----------বেশি প্যাচাল পারিস না। খাবি কানের তলায় দুইটা। তোরে যে কামে ডাকছি,সেইটা শোন। প্রেমা বিরক্তির গলায় বলে, ----------কী? -----------চেঁচামেচি করতেছে কে এই সাত সকালে? নিশুতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, -----------আর কোথা থেকে হবে! নিশুতিদের বাসায় হচ্ছে। মনে হচ্ছে,মেয়েটাকে মারছে ওর ডাইনি মা!! প্রায়াণ কপাল কুঁচকে বলে, ----------সিউর তুই? -

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ১)

Image
কলিংবেল বাজতেই প্রায়াণ উঠে দরজা খুলে। ছোট্ট ছিপছিপে শ্যামবর্ণের একটা মুখ, চোখভর্তি তার মায়া,মুখে হাসি জড়ানো। মিহি কণ্ঠে বললো, ---------প্রেমা নেই ভাইয়া? প্রায়াণ মুগ্ধ নয়নে নিশুতির দিকে তাকিয়ে ভেতরের ঘরের দিকে ইশারা করে। নিশুতি কপাল কুঁচকে বলে, ---------আংকেল বাসায়? প্রায়াণ মুখে কিছু না বলে মাথা ঝাকায়। নিশুতি বলে, ----------তাহলে আর ভেতরে যাবো না। এই ট্রে টা ধরুন তো। প্রেমাকে দিয়ে দিবেন। প্রায়াণ ট্রে টা ধরে। তাতে ৫ কাপ রং চা। নিশুতি বলে, ---------বড় ভাইয়া তো বাসায় নেই বোধহয় তাই ৫ কাপ দিলাম। আন্টিকে বলবেন,আমি নিজের হাতে বানিয়েছি। ওকে? প্রায়াণ ঘাড় অব্দি মাথা কাত করে অস্ফুটস্বরে বলে, ----------ওকে। নিশুতি চোখ বড় বড় করে বলে, ----------আপনি দেখি কথাও বলতে জানেন! আমি তো ভেবেছিলাম আপনি বোবা! প্রায়াণ কি জবাব দিবে ভেবে পায় না। প্রায়াণ কে আবার থম মেরে যেতে দেখে নিশুতি খিলখিলিয়ে হেসে উঠে। মানুষকে কনফিউশনে ফেলে দিতে তার ভীষণ ভালো লাগে। নিশুতি চলে যায়। প্রায়াণ পা দিয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে যায়। . . জালাল শেখ আর মিনু শেখের ছোট ছেলে প্রায়াণ,বড় ছেলে প্রত্যুষ। আরও দুটি মেয়ে আছে তা

তুমি আছো বলে - নৌশিন আহমেদ রোদেলা (সকল পর্ব ১-১৮)

Image
তুমি আছো বলে __"নৌশিন আহমেদ রোদেলা" তুমি আছো বলে - পর্ব ১ তুমি আছো বলে - পর্ব ২ তুমি আছো বলে - পর্ব ৩ তুমি আছো বলে - পর্ব ৪ তুমি আছো বলে - পর্ব ৫ তুমি আছো বলে - পর্ব ৬ তুমি আছো বলে - পর্ব ৭ তুমি আছো বলে - পর্ব ৮ তুমি আছো বলে - পর্ব ৯ তুমি আছো বলে - পর্ব ১০ তুমি আছো বলে - পর্ব ১১ তুমি আছো বলে - পর্ব ১২ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৩ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৪ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৫ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৬ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৭ তুমি আছো বলে - পর্ব ১৮

কিসের নেশায় করছে তারা [কবিতা]

Image
থাকবো নাকো সিঙ্গেল ওরে, দেখাবো এবার রিলেশন করে কেমন করে করছে তারা..? একটা ছেড়ে, দুইটা ধরে.!! ফ্ল্যাট হতে ফ্ল্যাটান্তরে করছে তারা ডেটিং ওরে. কিসের নেশায়? কেমন করে..? Chating করছে রাত্রি ভরে! কিসের আশায় করছে বরণ ব্রেক_আপের যন্ত্রণাকে? কেমন করে বীর তরুনী মিথ্যে বলে পার্কে আসে, বাসায় ফিরে মাকে বলে প্রাইভেট ছিল স্যারের কাছে!

সময় পরিবর্তনশীল

Image
* ১০ বছর আগে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী নজর কাড়া মেয়েটাও এখন দুই সন্তানের মা.. কিন্তু সেই রুপ আর নাই.... * সব পরীক্ষায় নকল করে পাস করা ছেলেটিও এখন বিসিএস ক্যাডার..... * ক্লাসের পড়াশুনোয় সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করা ছেলেটিও এখন বেকার ঘুরছে... *অন্যের গার্ল ফ্রেন্ড ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া বাইকওয়ালা ছেলেটার হবু বউও এখন আরেক প্রতিষ্ঠিত টাকাওয়ালার বিয়ে করা বউ... * ৮ বছর আগে ক্লাসে সবচেয়ে অহংকার নিয়ে চলাফেরা করা ছেলেটাও এখন ঋণের বোঝা নিয়ে কোন মতে বেচে আছে.... * ১০ বছর আগে ক্লাসের লাস্টে বসা প্রতিনিয়ত খারাপ রেজাল্ট করা ছেলেটাও এখন ডাক্তারি পড়া শেষ করে ফেলেছে... * ৬-৭ বছর ধরে বারবার বয়ফ্রেন্ড চেঞ্জ করা ফর্সা সুন্দরী মেয়েটাও এখন পাত্র পক্ষের কাছে বার বার রিজেক্ট হচ্ছে.... * ৫ বছর আগের সবচেয়ে সেরা জুটিটা এখন একজন আরেকজনের ব্লক লিস্টে.... * ৭-৮ বছর ধরে নিজের ইচ্ছামতো একের পর এক প্রেম করা মেয়েটিও এখন নিজের অনিচ্ছায় অপছন্দের মানুষের সাথে সংসার করছে... * ১০ বছর আগে আড্ডা জমানো ছেলেটাকে বন্ধু সার্কেল থেকে সরিয়ে দেওয়া মানুষটা এখনো বন্ধুত্তহীনতায় ভুগছে.... কখন কার কপালে কি ঘটে তা আগ

বউ আর আমি

Image
রাতে বউয়ের সাথে তুমুল ঝগরা করেছি !! ওকে... বলেছি... "তুমি যদি মানুষের বাচ্চা হও তাহলে আমার সাথে কথা বলবে না" ব্যাস, কাজ হয়েছে, আর কথা বলে না। খালি রাগে ফোলে। সারারাত নাক টেনে কান্না করছে... না নিজে ঘুমাচ্ছে না আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে। সকালে খেতে বসে দেখি আজব কান্ড, আমার খাওয়ার পাশে খাতা কলম রাখা। বললাম এগুলা কি..? বউ তার খাতায় কি জানি লেখলো। তারপর আমাকে দেখালো, আমি পড়লাম। লেখা আছে..."আমি মানুষের বাচ্চা, তাই কোনোও কথা নাই" আজব কাহিনি।  যাই হোক...... সে নিজে আমাকে মাংস দিলো ৩ পিস। আমি খাতায় লিখলাম, "২ পিস দাও" খাওয়ার মাঝে লিখলাম,"পানি দাও"। রাতে ঘুমানোর আগে আমি শুয়ে আছি। সে গুন গুন করে গান গাইছে আর চুল আঁচড়াচ্ছে। কি চমৎকার দৃশ্য আমি খাতায় খস খস করে লিখলাম "প্রিয় জানু, আগামিকাল সকাল ৮ টায় আমার অফিসে একটা জরুরী মিটিং আছে। প্লিজ সকাল ৭ টায় ডেকে দিও। চিঠি টা বউয়ের হাতে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯টা ৩৫। চিৎকার দিয়ে উঠে বসছি। এইটা কি......? পাশ ফিরে দেখি বউ নাই। বউয়ের জায়গায় একটা চিঠি। তারাত