রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৭)


রাতের বেলা......
বারান্দার ঠান্ডা ফ্লোরে বরফের মতো জমে বসে আছে নিশুতি। ইফতি ভাতের প্লেট নিয়ে আসে।
নিশুতির ঠিক পাশ ঘেঁষে বসে।
---------ভাত খাবিনা?
নিশুতি দু হাটুর উপরে মুখ রেখে বলে,
---------ইচ্ছে করছে না ভাই। আজকে প্লিজ জোর করিস না।
ইফতি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাতের প্লেট খানা দূরে সরিয়ে রাখে।
--------তুই কি তাহলে মনে মনে ডিসিশন নিয়েই নিয়েছিস এই বিয়েটা করার??
নিশুতি উত্তরে কিছু বলে না। চুপ করে থাকে।
ইফতি খানিকক্ষণ নিশুতির দিকে তাকিয়ে থেকে অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার।
আলগোছে চোখে জমা পানি মুছে নেয় ইফতি। তারপর গম্ভীরমুখে নিশুতির দিকে তাকিয়ে বলে,
---------আমাকে কতটা ভালোবাসিস??
নিশুতি হাটু থেকে মুখ তুলে ইফতির দিকে তাকায়। মুখে শুকনো হাসি ফুটিয়ে বলে,
---------যতটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না ততটা।
ইফতিও একটুখানি হাসে নিশুতির কথা শুনে।
--------তাহলে আমি একটা অনুরোধ করবি রাখবি??
--------হুম চেষ্টা করবো বল।
--------দাড়া আসতেছি।
নিশুতিকে বারান্দায় বসিয়ে রেখে ইফতি ভেতরের রুমে যায়। দু মিনিট পর একটা ছোট ব্যাগ হাতে নিয়ে আসে।
--------কি এটা ভাই?
নিশুতি ব্যাগটার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
ইফতি আবারো নিশুতির পাশ ঘেঁষে বসে বলে,
---------এটায় ১০ হাজার টাকা আছে। তুই এটা নিয়ে সিলেট চলে যা। কোনো একটা রিসোর্ট ভাড়া করে থাক। আরো যত টাকা লাগে আমি পরে পাঠিয়ে দিবো তোকে। তুই যা বোন,এখানে থেকে মরিস না এভাবে!!
নিশুতি আশ্চর্যের সপ্তম আসমানে পৌছায়।
অবাক হয়ে ক্ষীণ গলায় বলে,
--------এত টাকা তুই কই পেলি??
---------কাকাকে ফোন করেছিলাম। কাকা দিয়েছে। আর বলছে তোকে সিলেট চলে যেতে বা চট্রগ্রাম। বা যেখানে ইচ্ছা। কাকার বাসায় গেলে আব্বু যদি ঝামেলা করে তাই তুই এমন জায়গায় যা যার কথা শুধু আমি আর কাকা জানবো আর কেউ না।
নিশুতি বেকে বসে।
---------না না। আমি এভাবে যেতে পারিনা। পরে সবাই তোর উপরে অত্যাচার চালাবে।
---------চালাবে না। আমি আম্মুর পেটের সন্তান। সে ঠিকি আমাকে বিশ্বাস করবে। তোর যাওয়া প্রয়োজন।
---------না আমার যাওয়ার কোনো দরকার নেই।
ইফতি রাগী গলায় বলে,
---------যাবি না??
---------না।
ইফতি উঠে দাঁড়ায়। বারান্দার গ্রিলের কাছে এসে বলে,
---------ওকে যাইস না। করিস কালকে ঐ বুইড়া কে বিয়া। আর ওর লগেই সংসার পাতিস। আমাকেও ভুলে যা। আমি যে তোর ভাই সেটাও ভুলে যা। তোর সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক নাই। যা তুই। যা ইচ্ছা কর।
ইফতি ভীষণ রেগে গেছে। নিশুতি মুচকি হাসে ইফতির কান্ড দেখে। কে বলবে এই ছেলে নিশুতির থেকে ৪ বছরের ছোট!!
নিশুতিও উঠে দাঁড়ায়। ইফতির পাশে দাঁড়িয়ে ইফতির হাত থেকে টাকার ব্যাগ টা নিয়ে বলে,
----------কতদিন লুকিয়ে থাকতে হবে?
ইফতি বোনের দিকে তাকিয়ে ছলছল চোখে বলে,
---------যতদিন না এদিকের সব ঠিক হচ্ছে ততদিন।
নিশুতি ইফতিকে জড়িয়ে ধরে। খুব শক্ত করে।
---------আমি সিলেট যাবো ভাই। একা একা কিভাবে যাবো বল তো! আমি তো এর আগে কখনো স্কুলেও একা যাইনি!
ইফতি বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
--------পারবি তুই। এখন অনেক বড় হয়েছিস। আমি যদি যাই তবে এদিকে কে সামলাবে! তুই ডাইরেক্ট গাবতলি যাবি। ওখান থেকে সিলেটের বাসে সোজা সিলেট।
নিশুতি নিচুস্বরে বলে,
---------আচ্ছা।
.
.
ছোট্ট একটা ব্যাগে প্রয়োজনীয় কিছু জামা কাপড় নেয় নিশুতি। ফোনের সিমকার্ড বদলে একটা নতুন সিমকার্ড নেয়। যার নাম্বার শুধুমাত্র ইফতি আর তার কাকাই জানবে। অন্য কেউ না।
ব্যাগের একদম তলায় টাকা গুলো লুকিয়ে নেয় নিশুতি। তারপর পা টিপে টিপে মেইন ডোর খুলে বাহিরে আসে তারা।
ইফতিকে আবারো জড়িয়ে ধরে নিশুতি। ভীষণ কান্না পাচ্ছে তার। নিয়তি আজ কোথায় এনে দাড় করিয়েছে তাকে!
ইফতি নিশুতির দুগালে হাত চেঁপে ফিসফিসিয়ে বলে,
---------সাবধানে যাস। আমি পরে ফোন করবো তোকে। আর রাস্তায় কোথাও দাড়াবি না। বুঝে শুনে যাস আপু।
নিশুতি ইফতির ছোট ছোট চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিয়ে বলে,
--------আমি তোর থেকে চার বছরের বড়! আমি পারবো বুঝছোস? পাকনা বুড়া!
ইফতি হাসে। হাত নেড়ে বোনকে বিদায় দেয়। নিশুতিও হাত নেড়ে সিড়ির দিকে পা বাড়ায়।
.
.
ছাদের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে এক মনে সিগারেট ফুঁকছিল প্রায়াণ। হঠাৎ তার চোখ পড়ে নিচের রাস্তায় ছোট্ট একটা মেয়ের দিকে। প্রায়াণ এক নজর তাকায়। তারপরেই সাথে সাথে সিগারেট ফেলে দেয় হাত থেকে। এক দৌড়ে নিচে চলে যায় সে। মেয়েটা তখন সেই রাস্তার মাথা অব্দি চলে গিয়েছে।
প্রায়াণ দৌড় লাগায়।
ভীষণ জোরে দৌড় লাগায়।
ঠিক নিশুতির সামনে বরাবর গিয়ে থামে।
হুট করে প্রায়াণ কে দেখে নিশুতির পিলে চমকে যায়।
নিশুতির আপাদমস্তক প্রায়াণ কে দেখে বলে,
-------আপনি!!
প্রায়াণ হাপাতে থাকে। মুখে কিছু বলতে পারছে না সে।
নিশুতি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে প্রায়াণের দিকে তাকিয়ে থাকে।প্রায়াণের ঘন শ্বাস ধীরে ধীরে কমে আসলে সে বলে,
---------তুমি কোথাও যাচ্ছো এত রাতে???
নিশুতি কিছু না বলে হাটা লাগায়। এই ব্যাপারে কাউকে কিছু না জানানোই ভালো।
প্রায়াণ ও নিশুতির পিছু ধরে।
-------বলো কোথায় যাচ্ছো?
--------যেখানেই যাই। আপনার কী!
প্রায়াণের রাগ লাগে। নিশুতির বাহু চেপে নিশুতিকে সটান করে দাড় করায়। নিশুতি অবাক হয়।
প্রায়াণ বাজখাঁই গলায় বলে,
---------এই মেয়ে কি সমস্যা তোমার?? তুমি আমার সাথে এরকম কেন করতেছো? তোমাকে বেশি ভাও দেখাই দেখে তুমি ইগনোর করতেছো??
নিশুতি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে প্রায়াণের দিকে।
প্রায়াণ বলে চলে।
---------আমার জন্য কত্ত মেয়েরা পাগল তুমি জানো? ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া হাও মাচ গার্ল ফল ফর মি?? নো ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া!! তবুও আমি তোমার উপর মরি। তোমার সাথে কথা বলতে,তোমার সাথে দেখা করতে আমি পাগলের মতো হয়ে যাই। আর তোমার সেটা চোখে বাধে না??? সেদিন রাতে ফোনে আমাকে যা বলছো এরপর থেকে আমার কি অবস্থা জানো? আমি খাই না,ঘুমাই না কিচ্ছু করতে পারিনা। শুধু তোমার মুখ টা আমার চোখের সামনে ভাসে। তোমাকে ভেবে ভেবে আমি রাত দিন পার করি। আর তুমি আমার সাথে এরকম করছো নিশু???
ইয়েস আই লাভ ইউ। ডু ইউ হেয়ার দ্যাট?? আই লাভ ইউ নিশুতি....আই লাভ ইউ....
খালি নির্জন রাস্তায় প্রায়াণের আই লাভ ইউ কথা টা তীরের মতো এসে বাধে নিশুতির কানে।
নিশুতির কান লাল হয়ে যায় লজ্জায়। কেউ তাকে মনে মনে এত ভালোবাসতো! আর সে তার এত কাছে ছিল তবুও নিশুতির বুঝে আসলো না কেন!
প্রায়াণ নিশুতির বাহু ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বলে,
---------তুমি কোথায় যাচ্ছো বা না যাচ্ছো তাতে আমার অনেক কিছু আসে যায়। আর তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করছি। ইচ্ছে হলে বলবা,না হলে বলো না। তবে একটা কথা বলবো নিশুতি??
নিশুতি ছোট্ট করে বলে,
--------হুম।
--------তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে না। নিয়ম মাফিক টাইম দিতে হবে না। আমার পছন্দের সব করতে হবে না। শুধু আমার কাধে মাথা রেখে তোমার কষ্ট গুলো ব্যক্ত করিও।
নিশুতির চোখের কোণা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে কয়েক ফোটা।
নিশুতি নিচের দিকে তাকিয়ে বলে,
--------আপনার সাথে সেদিন ছাদে কথা বলছিলাম সেটা আম্মু দেখে ফেলছিল। সে ভাবছে আপনার আমার মধ্যে কিছু আছে। আর তাই আমার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এমনকি কালকে আমাকে দেখতেও এসেছিল পাত্রপক্ষ।
প্রায়াণ নিশুতির দিকে মুখ ঘুরিয়ে অবাক হয়ে বলে,
----------হোয়াট??
----------হুম। ছেলে বুড়ো। বয়স ৪০ এর বেশি। তার সাথেই বিয়ে ঠিক করে দিয়েছে আমার। আজ রাত পার হলে কাল আমার বিয়ে সেই বুড়োর সাথে। আর তাই আমি পালিয়ে যাচ্ছি।
প্রায়াণ নিশুতির কাধে হাত রেখে বলে,
---------কোথায় যাবা??
---------জানিনা। যেদিকে দুচোখ যায়। তবে ঠিক করেছিলাম সিলেট যাবো। ইফতি আর কাকাই যেতে বলেছে। আর তাই যাচ্ছি।
প্রায়াণ কপালে হাত দিয়ে ভাবে কিছু। নিশুতিকে উদ্দেশ্য করে বলে,
---------একা যাবা?
---------হুম।
প্রায়াণ পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে ফোন লাগায়। নিশুতি বলে,
---------কাকে ফোন দিচ্ছেন? আমার আব্বু আম্মু কে বলিয়েন না প্লিজ!
প্রায়াণ জবাব দেয়না নিশুতির কথার। ওপাশ থেকে কেউ ফোন ধরতেই প্রায়াণ বলে,
--------হ্যালো আম্মু। আমি আমার বন্ধুদের সাথে আরজেন্ট ট্রিপে যাচ্ছি। এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলবা না। আমি তোমাকে সব পরে বলবো। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আমি কই তবে বলবা আমি আমার স্পোর্টস টিম থেকে বরিশাল গেছি। ওকে?? রাখছি আম্মু।
নিশুতি হা হয়ে শোনে প্রায়াণের কথা গুলো। প্রায়াণ কল কেটে আবার কাকে জানি কল করে!
একটু দূরে গিয়ে কিছু একটা বলে কাউকে। তারপর ফোন রেখে নিশুতির পাশে এসে দাঁড়ায়।
নিশুতি ভ্রু কুঁচকে বলে,
--------আপনি ট্রিপে যাচ্ছেন মানি? আপনি আন্টিকে কি বললেন??
প্রায়াণ মুচকি হেসে বলে,
--------কিছুইনা। চলো সিলেট যাবা না?
নিশুতি অবাক হয়ে বলে,
--------আপনিও যাবেন??
প্রায়াণ মাথা দোলায়।
নিশুতি বাধা দেয়।
---------না না। আপনি যাইয়েন না। কেউ যদি জানে আরো প্রবলেম হবে। সো প্লিজ...
প্রায়াণ নাছোড়বান্দা। সে একা কিছুতেই ছাড়বে না নিশুতিকে।
--------তুমি সিলেট গেছো এর আগে? ওখানে কি পরিমাণে জ্বীন ভূতের আস্তানা তার আইডিয়া আছে তোমার? একা একা তো থাকাই যায় না! জ্বীনে এসে ঘাড় মটকে দেয়।
নিশুতি নাক মুখ কুঁচকে বলে,
---------সত্যি??
প্রায়াণ বুক ফুলিয়ে ভাব নিয়ে বলে,
--------তো আবার কী? এই জন্যেই আমি যাবো তোমার সাথে। তোমার সেফটির জন্য। তোমার সাথে প্রেম করতে না ওকে??
নিশুতি আর কিছু বলে না। বিনাবাক্যে রাজী হয়ে যায় সে। ঝামেলা হলে হোক,কিন্তু সে জ্বীনের ঝামেলায় পড়তে চায় না। ছোট বেলা থেকেই সে এসবে ভীষণ বিশ্বাসী এবং ভীতুর ডিম ও।
প্রায়াণ নিশুতিকে নিয়ে গাবতলি যায় রিকশায়। নিশুতি টিকেট কাউন্টারের দিকে হাটা দিলে প্রায়াণ বলে,
--------টিকেট কাটতে হবে না। চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকো।
নিশুতি কোনো কথা না বলে চুপ করে প্রায়াণের পাশ ঘেঁষে দাঁড়ায়। নিশুতি জ্বীনের ব্যাপারটা নিয়ে যে ভীষণ ভয় পেয়েছে তা তার চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রায়াণ মৃদু হাসে।
প্রায়াণ ভাবতেই পারছে না নিশুতির মতো এই যুগের একটা মেয়েও জ্বীন ভূতে এত বিশ্বাসী!! আর প্রায়াণের কথা এক ঝটকায় বিশ্বাস করেও নিলো! প্রায়াণ মুখ টিপে টিপে হাসে।
খানিকবাদে একটা গাড়ি এসে থামে ওদের সামনে। গাড়ি থেকে একটা ছেলে বেরিয়ে প্রায়াণের সাথে হ্যান্ডশেক করে প্রায়াণের হাতে চাবি দেয়। তারপর চলে যায়।
প্রায়াণ নিশুতিকে বলে গাড়িতে উঠে বসতে। নিশুতি বিনাবাক্যে উঠে বসে। প্রায়াণ নিশুতির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে তারপর গাড়ি স্টার্ট দেয়।
.
.
রাত প্রায় ১ টা।
নির্জন রাস্তায় গাড়ি ছুটে চলছে তার আপন গতিতে। নিশুতি একদম চুপচাপ বসে আছে। একটা প্রশ্নও করছে না!
প্রায়াণ বারবার নিশুতির দিকে তাকাচ্ছে। আর গাড়ি ড্রাইভ করছে।
নিশুতি সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,
-------আমি মোটেও ভূতে বিশ্বাসী না। জ্বীন আছে আমি মানি কিন্তু তাদের এত খাইয়া কাম নাই যে আইসা আইসা মানুষের ঘাড় মটকাবে তাও সিলেটে!! আমি নিজেও জানিনা কেন আপনার সাথে যাচ্ছি বা কেন আপনাকে সাথে নিচ্ছি! হয়তো একা একা বোর হতাম তাই! আর এই গাড়িটা আপনার বন্ধুর সেটাও জানি। ফোনে কথা বলার সময় শুনেছি। আর এখন আমরা সিলেট যাচ্ছি সেটাও বুঝতে পেরেছি। বিছানাকান্দি যাইয়েন তো। খুব ইচ্ছা ওখানে যাওয়ার। কী নিয়ে যাবেন তো??
প্রায়াণ অবাক হয়ে শুনছিল নিশুতির কথা। মেয়েটা এত বুদ্ধিমতী!
প্রায়াণ ছোট্ট করে বলে-
-------হুম।
--------এবার সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালান। আমাকে দেখার অনেক টাইম পাবেন আজকের পর থেকে...
প্রায়াণ থতমত খেয়ে সামনের দিকে তাকায়। আর নিশুতি মুখ টিপে টিপে হাসে।
চলবে.....

Comments

Popular posts from this blog

মুখোশের আড়ালে - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-১৯)

ধোঁয়াশা - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২১)

কলঙ্কের ফুল - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২৯)