Posts

Showing posts from February, 2020

বাবার কমড়ে ব্যাথা - আসাদুজ্জামান রাজ

বাবার কমড়ে ব্যাথা __"আসাদুজ্জামান রাজ" বাবার তখন কোমড়ে ব্যাথা। কাজ করতে গিয়ে নাকি হালকা ব্যথা পেয়েছে। মিথ্যে গুলো কত সহজেই বলে দেয়। অদ্ভুত লাগে ভীষণ! কাজ করেনা কিছুদিন হলো, কাজ করতে গেলেই নাকি ব্যাথা বেশি হয়। তাই কিছুদিন রেস্ট নিচ্ছে। মাসের শেষ হয়ে ৭ তারিখ, তখনো স্কুলের গতমাসের বেতন দেওয়া হয়নি। বাবার কাছে টাকা চাব সেই সাহসও হয়নি। রোজ স্যারদের কটু কথাও ভালো লাগেনা। সবার যেখানে ১ তারিখেই টাকা পেইড সেখানে আমি এখনও দেইনি। সেদিনতো কবির স্যার বলেই দিলো.... . --কিরে তুই এখনও বেতন দিলিনা যে। মাত্রতো ৬০০ টাকা। . -স্যার আব্বা অসুস্থ, ক'দিন পর দিব। . --৩ দিন থেকেই তো বলছিস ক'দিন পরে দিবি। নাকি টাকা নিয়া নেশা করছস?   . স্যারের কথার জবাব দেওয়ার সাহস হয়নি। সবাই যেখানে হাসাহাসি করছিলো সেখানে আমি মাথা নিচু করেছিলাম, অপমানে হয়তো লজ্জায়। তবে মনে হয়েছিলো কেউ একজন আমায় দেখছে তার মায়াময় ঐ চোখ দিয়ে। তার বুকে কিঞ্চিত ধুকপুক শব্দ করছে, সেটা কেন হয় তা আমি জানিনা। শুধু জানি সে আমার কষ্ট গুলোর ভাগ চায়, চায় একটু আড়ালের বেড়াজালটা ভেদ করতে। আমার সাহসে কুলোয়না, মাথা উঠাইনা, নিচু করেই রাখি। দীর্

পুরান ঢাকার টিউশনি- আশাদুজ্জামান রাজ [ছোট গল্প]

Image
পুরান ঢাকার টিউশনি __"আশাদুজ্জামান রাজ" . পুরাণ ঢাকা থেইকা ছাত্রীর মা ফোন দিয়া কইলো: - মাস্টর ? - জি আন্টি - এই আমি ছেপ ফেললাম। হুগানের আগে আমার বাছায় আইবা। - কি আশ্চর্য। কোন এক বৃষ্টির দিনে একজন ফোন দিয়া কইছিলো তোর জন্য একটা ভালো টিউশনি পাইছি। আমি গেলাম। দেখলাম। পড়াইলাম। এভাবেই চলছিলো। আজ হঠাৎ জরুরি তলফ ক্যান। বুঝতেছি না। আমি বের হইলাম। উবারে কইরা রওনা দিলাম। ছেপ হুগাইয়া গেলে বিপদ। পৌছায়া কলিং বেল চাপলাম। খট কইরা দরজা খুললো। মনে হইলো দরজায় দাঁড়ায়া ছিলো। - স্লামালাইকুম আন্টি। ছেপ শুকিয়ে গেছে ? - চুপ রাহো। পুরাণ ঢাকার মানুষ কথার ফাঁকে ফাঁকে হিন্দি বলে। আমার ছাত্রীও বলে। ঐদিন বলতেছিলো - স্যার আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে? - কেন ? - আরে ইয়ার ! বাতাও না ! - কিহ্! - সরি। বলেন না। - নাই। - থ্যাংক গড। ছাত্রীর বডি ল্যাংগুয়েজ সেদিন থেকে বদলে গেল। ঠোঁটে লিপিস্টিকের কালার চেঞ্জ হইতে থাকলো। জামা কাপড় দিন দিন ট্রান্সপারেন্ট হইতে থাকলো। লক্ষন খারাপে দিকে দেখে কয়েকবার ভাবছিলাম টিউশনি ছাইড়া দিমু। কিন্তু পুরাণ ঢাকার বিরিয়ানির নেশা একবার যার হয়, তার ভুড়ি হয়ই হ

আমি নায়ক জসিম - আসাদুজ্জামান রাজ [ঠোট গল্প]

Image
আমি নায়ক জসিম __"আসাদুজ্জামান রাজ" . ভোর রাতে স্বপ্নে দেখলাম আমি নায়ক জসিম হয়ে গিয়েছি। ঠেলাগাড়ি ঠেলছি। আদ্রিতা ঠেলাগাড়িতে বসে হাত তালি দিচ্ছে। মুখে বলছে, ‘ওস্তাদ, বামে প্লাস্টিক...’ কি বিচ্ছিরি স্বপ্ন! এমন স্বপ্নও বুঝি কোনো প্রেমিক দেখে। পরমুহূর্তেই স্বপ্ন পাল্টে গেল। দেখি, লটারি লেগেছে একটা। প্রথম ডিজিটগুলো মিলে যাচ্ছে। আমার বুক ধড়পড় করতে লাগলো। গা ছেড়ে ঘাম দিলো। শেষের দুই ডিজিট মেলানোর পরই তীব্র উত্তেজনায় ঘুম ভেঙ্গে গেল। প্রচণ্ড বিতৃষ্ণায় মন তেঁতে উঠেছে ততক্ষণে। বারান্দায় এসে সিগারেট খেতে ইচ্ছা করছিলো খুব। চুপিচুপি আব্বার রুমের আলমিরার ডান সাইডে লুকোনো বিশেষ ড্রয়ার থেকে আব্বার লুকানো বেনসনের প্যাকেট নিয়ে আসলাম। সিগারেট ধরিয়ে মনে মনে এপিজে আবদুল কালামের কালজয়ী লাইনগুলি ভাবলাম, স্বপ্ন ওটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো। স্বপ্ন ওটাই যেটা তোমায় ঘুমাতে দেয়না। আমি ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। আদ্রিতার গলার স্বর লেগে আছে কানে এখনো, লটারির শেষ তিন ডিজিট চোখে ভেসে উঠলো বারবার। ঘুম হলোনা। সকালে আব্বাকে বললাম, ‘আব্বা, টাকা দাও। লটারির টিকেট কিনবো।’ আব্বা সকালবেলায় হাসিমুখে

দুষ্ট জামাই এবং দুষ্ট বউ - আসাদুজ্জামান রাজ [ছোট গল্প]

Image
দুষ্ট জামাই এবং দুষ্ট বউ __"আসাদুজ্জামান রাজ" জামাইয়ের সাথে ঝগড়া করে একটা ফেসবুক আইডি খুললাম। নাম দিলাম এন্জেলিনা সাদিয়া। সুন্দর দেখতে একটা মেয়ের পিকও লাগিয়ে দিলাম। .শুনেছি ফেসবুকে নাকি মানুষ প্রেম করে।শুধু প্রেম নয় বিয়েও নাকি অনেকে করেছে।আমিও ঠিক করেছি,ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে যাব।আর থাকব না এই সংসারে।কথায় কথায় বলে আমার দ্বারা নাকি কিছু হবে না।এবার আমি দেখিয়ে দিব,আমি ও পারি। .আইডি খুলতেই সুন্দর সুন্দর দেখতে একটা নয় ছয় সাতটা ছেলের রিকুয়েস্ট দেখেই খুশিতে বেডের উপর থেকে নিচে পড়ে গেলাম।আল্লাহ আমার দিকে মুখ তুলে তাকায়ছে।না হলে এত সুন্দর দেখতে ছেলেরা আমাকে রিকুয়েস্ট দেয়।আমাকে ঠেকায় কে।শুরু করে দিলাম প্রেম। -হ্যালো। -হ্যায় -তুমি না অনেক কিউট। -কি যে বলো,তুমিতো আমার থেকে সুন্দর। -আচ্ছা তুমি কি ম্যারিড? -তুমি টেনশন করো না থাকলেও ডিভর্স দিয়ে দিব। -হাও কিউট। .সারা-রাত জামাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে চ্যাটিং করলাম।সেও দেখলাম ফোন নিয়ে ব্যস্ত।তাতে আমার কি আমি এখন প্রেম করাই ব্যস্ত। .এভাবে তিন-চার দিন গেল।প্রেমতো জমে ক্ষীর।আমিও মহা আনন্দে আছি।আমি কি পারি সে এবার দ

সত্যি কথা - সোহাগ [ঠোট গল্প]

Image
এই যে শুনুন। -জ্বি বলুন,কি বলবেন? -আমি আপনাকে ভালবাসি -ও তাই,কিন্তু এটা সম্ভব না। -ও একটা মেয়ে আগ বাড়িয়ে প্রপোজ করেছে বলে ভাব দেখাচ্ছেন। -না,ভাব দেখাব কেন? -তাহলে কি সমস্যা? -সমস্যা অনেক তার জন্য আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দিতে হবে। -ঠিক আছে দিলাম,এবার বলুন। -তাহলে শুনুন।ধরুন আমি আপনার প্রপোজাল গ্রহণ করলাম।তারপর আমরা দুই জন দুজনার নাম্বার আদান প্রদান করব।তুমি বাসায় গিয়ে আমার নাম্বারে মিস কল দিবে।আমি এ পর্যন্ত কোন জিএফ কে তার বিএফ কে কল দেওয়া দেখিনি।তোমার মিসকল পেয়ে আমি কলব্যাক করব।তারপর আমাদের প্রেমালাপ ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এভাবে চলতে থাকব।এদিকে তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ফেলব।আর ডাক্তারেরা বলেছেন অতিরিক্ত মোবাইলে কথা বললে ব্রেইন ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা আছে। তোমার সাথে প্রেম করতে গেলে সপ্তাহে একদিন হলেও পার্কে বা রেস্টুরেন্ট এ দেখা করতে হবে। এখানেও আমাকে একজন যোগ্য প্রেমিক হিসেবে বিল পে করতে হবে।যখন আমি এরকম রেস্টুরেন্টে ঘোরাঘুরি আর কথা বলে আমাদের প্রেম চালাতে থাকব।তখনেই কোন বন্ধু এসে বলবে "কিরে ব্যাটা কি

নিঝুম আর আমি - অজানা লেখক [ছোট গল্প]

Image
নিঝুমের দেওয়া ছ্যাঁকার লোড সহ্য করতে না পেরে আজ তিনমাস যাবত চোখে পেঁয়াজ দিয়ে কান্না করি। মাঝরাতে বিচ্ছেদ গান শুনে উড়াধুরা নাচি। ফেসবুকে মানুষের পোস্টে প্রচুর হাহা দেই। যার ফলে এখন নিজেকে একটু হালকা লাগছে। . অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। তাই ভাবলাম কোথাও যাওয়া দরকার। আর তার জন্য টাকা দরকার। একপা দু'পা করে রান্না ঘরে আম্মার কাছে গেলাম। আম্মা রান্না করতেছে। নিজেকে প্রস্তুত করে ভাদাইম্মা স্টাইলে দাঁড়িয়ে ভেংচি মেরে বললাম.... . --ও আম্মাআআগোওওওও.... . আমার আচমকা এমন ডাক শুনে আম্মাজান থতমত খেয়ে ঘুরান্টি দিয়ে পিছনে তাকালেন। মুখটা বাকিয়ে বললেন.... . -ও রাজউউউ গো...বলোগোওওওও... . বুঝলাম আম্মা আমার ডাকের প্রতিশোধ নিচ্ছে। তাই বললাম.... . --সরি আম্মা। . -কিউ আব্বাজান? . --মশকরা করো আমার লগে? . -মোটেও না, আমি রান্না করছি . --তাহলে এভাবে বলছো কেনো? . -ভাল্লাগে, খুশির ঠেলায়, ঘোরতে তরে খেপাইতে। . --মানে? . -কুচ নেহিহে বেটা। . --দেখো আমার সাথে ইয়ার্কি করবা না, এমনিতেই ছ্যাঁকা খেয়ে প্রসুর ডিপ্রেশনে আছি। . -কি বললি? . --নিঝুম ছ্যাঁকা দিছে। . -নিঝুম কে? . --ত

কথোপ কথন - নুসরাত খান অনি [ছোট গল্প]

Image
বাজারে যাচ্ছেন? - হুম। - নিন,ধরুন। - কি এটা? - বাজারের লিস্ট। - আপনার বাসার বাজার আমি কেন করতে যাবো? - কারণ আমি আপনার প্রতিবেশী তাই। তাছাড়া আব্বু কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে গেছেন। - তো? - তো মানে? প্রতিবেশীর দেখাশোনা করা আপনার দায়িত্ব না? - প্রতিবেশী যদি প্রতিবেশীর জায়গায় থাকে তাহলেই দায়িত্বের কথা আসে। কিন্তু আমার প্রতিবেশী তো প্রতিবেশী না,যেন গলার ফাঁসি! - দেখুন,এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। - ওহ্,বাড়াবাড়ি বলে যে কিছু আছে,আপনি এটা বুঝেন তাহলে? - আপনি সবসময় আমার সাথে এভাবে কথা বলেন কেন? - আপনার সাথে আপনার মত করে কথা বলতে হলে আমাকে জেন্ডার চেঞ্জ করতে হবে। করবো? - অনেক হয়েছে। লিস্টটা ধরুন আর তাড়াতাড়ি বাজার করে নিয়ে আসুন। - পারবো না। - ঠিক আছে,আমিও তাহলে আর পেটের ভেতর কথা চেপে রাখতে পারবো না। - মানে? - মানে খুব সোজা। অফিস থেকে এসে বাসায় না গিয়ে,ছাদে বসে বসে যে একটার পর একটা সিগারেট টানা হয়,এই খবরটা এখন আমার পেট থেকে আন্টির কানে পৌঁছে দেয়ার সময় এসেছে। এভাবে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। - বাজারের লিস্টটা দিন। - নিন। - আচ্ছা আমি থাকি দোতলায় আর আপনি থাকেন চ

ইউটার্ন - এলমুন নূর খান [ছোট গল্প]

Image
ইউটার্ন __"এলমুন নূর খান" ছাত্রের বড়বোন আমার দিকে আড়চোখে তাকায়,বেশ কদিন ধরেই বিষয়টা লক্ষ করছি। সপ্তাহে তিনদিন উত্তরা যাই ক্লাস এইটের এক ছাত্রকে পড়াতে।নাম আলভী।বাবা সুপ্রিম কোর্টের উকিল,মা গভর্নমেন্ট কলেজের প্রিন্সিপ্যাল।বোন একজন আছে,ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।হাইফাই পাঁচতলা বাসা,এসি করা প্রতিটা রুম।রংবেরঙের লাইট,শো-পিচ আর পুতুল দিয়ে রুমগুলো সাজানো। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে এই টিউশনিটা পেয়েছিলাম কয়েকমাস আগেই।বড়লোক ঘর,বেতন যা দেয় তা আমার প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।শুনেছি আলভীর ছোট আরেকটা ভাইও আছে।যদি আলভীর পরে তাকেও পড়াতে পারি,তাহলে আমার দু/একটা টিউশনি ছেড়ে দিয়ে কেবল এখানে পড়ালেও মন্দ হবেনা।তাই প্রথম থেকেই আলভীকে মনোযোগ দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করি,ওয়েল-ড্রেসআপ ম্যান্টেন করে আসাযাওয়া করি।কিন্তু না চাইতেই ব্যাপারটা যে এভাবে ঘুরে যাবে ভাবিনি। আলভীর বড়বোন ত্রয়ী,আমার দিকে কদিন ধরেই কেমনকরে যেন তাকাচ্ছে।ঘাবড়ে যাচ্ছি মাঝেমাঝে।আগে প্রতিদিনই পড়ানোর শেষদিকে আলভীর আম্মা আমাকে নাস্তা দিয়ে যেতেন,ছাত্রের ভালোমন্দ খবর নিতেন।ইদানীং এই কাজটা তার বড়বোন করছে। সেদিন দেখি নাস্তা নিয়ে এস

স্ত্রীর ভালোবাসা - ফেসবুক

Image
স্ত্রীর ভালোবাসা............ • রুমে ঢুকেই অবাক হয়ে গেলো স্বামী । স্ত্রী ব্যাগ গোছাচ্ছে। • স্বামী :- সে কী.! কোথায় যাচ্ছো তুমি.?? • স্ত্রী :- বাপের বাড়ি। • স্বামী :- কেনো.? • স্ত্রী :- থাকব না আমি তোমার সঙ্গে। • স্বামী :- আশ্চর্য.! কী অন্যায় আমার.?樂 • স্ত্রী :- আমার বাবা একটা ভুল মানুষের কাছে আমাকে বিয়ে দিয়েছেন। • স্বামী :- হুমমম ; বুঝলাম.!! কিন্তু আমার ভুলটা কি বলবে তো.?? ... ... স্ত্রী :- তুমি একদিনও তাহাজ্জুদ পড়ো না।郎 • স্বামী :- ...........................( স্বামী নিশ্চুপ ) • স্ত্রী :- তুমি কুরআন তিলাওয়াত তো ছেড়েই দিয়েছো.!! • স্বামী :- .............................( স্বামী নিশ্চুপ ) • স্ত্রী :- কথা ছিলো,, একই প্লেটে খাবার খাবো, তুমি কথা রেখেছো.? • স্বামী :- .......................... ( স্বামী নিশ্চুপ ) • স্ত্রী :- একটাও তো ঠিক মত হচ্ছে না।কেনো থাকবো আমি তোমার সঙ্গে.?? ... ... স্ত্রী ব্যাগ হাতে বের হয়ে যেতে উদ্যত। স্বামী পিছন থেকে স্ত্রীর একটা হাত ধরলো। ... ... ... স্বামী :- যেও না,, লক্ষ্মী'টি । একটা সুন

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (সকল পর্ব ১-২৬)

Image
রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (সকল পর্ব ১-২৬) রঙ চা - পর্ব ১ রঙ চা - পর্ব ২ রঙ চা - পর্ব ৩ রঙ চা - পর্ব ৪ রঙ চা - পর্ব ৫ রঙ চা - পর্ব ৬ রঙ চা - পর্ব ৭ রঙ চা - পর্ব ৮ রঙ চা - পর্ব ৯ রঙ চা - পর্ব ১০ রঙ চা - পর্ব ১১ রঙ চা - পর্ব ১২ রঙ চা - পর্ব ১৩ রঙ চা - পর্ব ১৪ রঙ চা - পর্ব ১৫ রঙ চা - পর্ব ১৬ রঙ চা - পর্ব ১৭ রঙ চা - পর্ব ১৮ রঙ চা - পর্ব ১৯ রঙ চা - পর্ব ২০ রঙ চা - পর্ব ২১ রঙ চা - পর্ব ২২ রঙ চা - পর্ব ২৩ রঙ চা - পর্ব ২৪ রঙ চা - পর্ব ২৫ রঙ চা - পর্ব ২৬ [শেষ পর্ব]

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ২৬) [শেষ পর্ব]

Image
খাবার টেবিলে যেন বোমা ফাটলো প্রায়াণের কথায়। প্রায়াণ আবারও বললো, "আমি নম্রতাকে বিয়ে করতে চাই।" প্রেমা পিউ চমকে উঠে। প্রত্যুষ উঠে আৎকে। বিষ্ময়ে মিনু শেখ এর গলা দিয়ে খাবার নামছে না। কি একটা অবস্থা! জালাল শেখ অনেকটা চেঁচিয়ে বলেন, "তোর বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্টির মধ্যে কেউ জীবনে দুই বিয়া করলো না। আর তুই দুই বিয়া করতে চাস? সমস্যা কি তোর?" নিশুতি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে। প্রেমা একহাত দিয়ে নিশুতির হাত শক্ত করে ধরে রেখে প্রায়াণের উদ্দেশ্যে বলে, "তোর নাট বল্টু ঢিলা হইয়া গেছে ভাইয়া? পিউ যা তো স্ক্রু ড্রাইভার নিয়া আয়। ভাইয়ের মাথার নাট টাইট দি।" পিউও সুন্দর মতো উঠে দাঁড়ায়। প্রেমাই ধমকে উঠে, "বলদ বস।" পিউ মাথামুণ্ডু বুঝে না কিছুই। ফ্যাচফ্যাচ করে বললো, "কি হইছে? তুমিই না বললা আনতে!" প্রেমা রাগী দৃষ্টিতে তাকায় পিউ'র দিকে। পিউ ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে চুপচাপ বসে পড়ে তার চেয়ারে। প্রত্যুষ প্রায়াণের হাতের উপর হাত রাখে। ক্ষীণ গলাহ বললো, "তোর বড় ভাই এখনো বিয়ে করলো না। তুই অলরেডি একটা করছিস। এখন আরো করতে চাচ্ছিস! মানে সমস্যা কী তোর? আমি বুঝতেছি ন

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ২৫)

Image
কাঁচের বাহিরে একটা পেলব দুপুর। ব্যস্ত শহর টাকে আরো ব্যস্ত করে তুলছে যেনো। শান একটা রেস্টুরেন্টের দোতালায় বসে সেই ব্যস্ত শহর দেখতে ভীষণ ব্যস্ত। সূয্যিমামা উঠার আগেই এসব মানুষের দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। কিসের এতো কাজ তাদের! শান বুঝতে পারেনা। "এই যে মিস্টার..." শান চমকে তাকায়। ঘোর কেটে দায়সারাভাবে বলে, "আরে মিস নম্রতা। আসুন আসুন। বসুন না...!" শান উঠে চেয়ার ঠেলে তাকে বসার আমন্ত্রণ জানায়। ধীরভাবে বসতে বসতে নম্রতা বলে, "আমি কি খুব দেড়ি করে ফেললাম!" শান হেসে মাথা নাড়ায়। " না না। আমিই বোধহয় দ্রুত চলে এসেছি।" নম্রতা উত্তরে হাসি ছুড়ে দেয়। শান একটু ওয়েটার কে ডেকে নম্রতার দিকে তাকায়। "কি খাবেন?" নম্রতা কিছুক্ষণ মেনু কার্ডের দিকে চোখ বুলায়। তারপর বলে, "একটা স্ট্রং কফি। আর কিছু না।" ওয়েটার তার কার্ডে অর্ডার লিখে শানকে উদ্দেশ্য করে বললো, "স্যার আপনি?" "একটা ব্ল্যাক কফি।" "ওকে স্যার।" ওয়েটার বয় চলে যায়। আর শান পুরোপুরি ভাবে তাকায় নম্রতার দিকে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সে আর নম্রতা কফ

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ২৪)

Image
"তুই এত রাতে? কি হয়েছে? ভাইয়ার সাথে সব ঠিক তো?" জলভরা চোখেই নিশুতি আলগা হাসে। হাসি ঠোঁটে রেখেই বলে, "ভেতরে ঢুকতে দিবি না?" প্রেমা থতমত খায়। "আয় আয়" বলে দরজা থেকে সরে দাঁড়ায়। নিশুতি ঘরে ঢুকে বললো, "তুই কি জানালার পাশে ঘুমোস? আমি আজকে জানালার পাশে ঘুমাবো। ওপাশ ছাড়া আমার ঘুম ভালো হয়না।" প্রেমা এই প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তর না দিয়ে পালটা প্রশ্ন করে আবারো। "কিছু বলিস না কেনো? কিছু হয়েছে?" এবার একটু বিরক্তিই বোধ হয় নিশুতির। সে কপালে ভাঁজ ফেলিয়ে,নাকের পাটা ফুলিয়ে বলে, "আমি এসেছি বলে কি তোর সমস্যা হচ্ছে? রাতে বিএফ এর সাথে ভালো করে কথা বলতে পারবি না এটাই ভাবছিস?" প্রেমা হতবাক হয়। বিষ্মিত গলায় বলে, "এসব কি আবোলতাবোল বলছিস?" "তো বলবো না তো কি করবো? যেভাবে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করতেছিস,যেন এসে তোকে বেশ ঝামেলায় ফেলে দিলাম।" প্রেমার একটু রাগ হয়। আবার ঐ শান্ত নয়নের নিশুতির দিকে তাকাতেই তা উবে যায় হাওয়াই মিঠাইর মতোন। ছিপছিপে শ্যাম বর্ণের মেয়েটার চোখে একধরনের "কেমন লাগা" ভাব আছে। তাকালেই বুকের মাঝে একটা অদ্