রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ২৪)


"তুই এত রাতে? কি হয়েছে? ভাইয়ার সাথে সব ঠিক তো?"
জলভরা চোখেই নিশুতি আলগা হাসে। হাসি ঠোঁটে রেখেই বলে, "ভেতরে ঢুকতে দিবি না?"
প্রেমা থতমত খায়। "আয় আয়" বলে দরজা থেকে সরে দাঁড়ায়।
নিশুতি ঘরে ঢুকে বললো,
"তুই কি জানালার পাশে ঘুমোস? আমি আজকে জানালার পাশে ঘুমাবো। ওপাশ ছাড়া আমার ঘুম ভালো হয়না।"
প্রেমা এই প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তর না দিয়ে পালটা প্রশ্ন করে আবারো।
"কিছু বলিস না কেনো? কিছু হয়েছে?"
এবার একটু বিরক্তিই বোধ হয় নিশুতির। সে কপালে ভাঁজ ফেলিয়ে,নাকের পাটা ফুলিয়ে বলে,
"আমি এসেছি বলে কি তোর সমস্যা হচ্ছে? রাতে বিএফ এর সাথে ভালো করে কথা বলতে পারবি না এটাই ভাবছিস?"
প্রেমা হতবাক হয়। বিষ্মিত গলায় বলে, "এসব কি আবোলতাবোল বলছিস?"
"তো বলবো না তো কি করবো? যেভাবে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করতেছিস,যেন এসে তোকে বেশ ঝামেলায় ফেলে দিলাম।"
প্রেমার একটু রাগ হয়। আবার ঐ শান্ত নয়নের নিশুতির দিকে তাকাতেই তা উবে যায় হাওয়াই মিঠাইর মতোন।
ছিপছিপে শ্যাম বর্ণের মেয়েটার চোখে একধরনের "কেমন লাগা" ভাব আছে। তাকালেই বুকের মাঝে একটা অদ্ভুত চাপা শান্তি বয়ে যায় ছলছল করে।
প্রেমা আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে নিশুতির দু হাত নিজের হাতের মুঠোয় নেয়। একটা চাপা আর্তনাদ করে বলে উঠে,
"উল্টো পাল্টা বকবি না। তুই জানিস না তুই আমার কত ভালো ফ্রেন্ড? তুই আসাতে আমি বিরক্ত হবো ভাবিস কিভাবে? পাজি মেয়ে।"
নিশুতি মুচকি হাসে। প্রশস্ত ঠোঁটে বলে, "এমনিই বললাম। একটু ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করলাম। বুঝিস না ক্যান বাল!"
"তোর মতো ওত পাকনা আমি না। তাই বুঝিনা অত।"
"হু ব আকার ল। বাল।"
বলেই খিলখিল করে হেসে উঠে নিশুতি। এতক্ষণে মনের ভেতর থাকা চাপানো কষ্টের পাথর টা একটু একটু করে গলে যাচ্ছে। মনের আকাশে জমা মেঘ কাটছে ধীরে ধীরে।
দুই বান্ধুবী বেশ অনেক্ক্ষণ গল্প করে। আর একটু পর পরই খিলখিল করে হেসে উঠে নিশুতি। কি প্রাণোচ্ছল সে হাসি! হাসির শব্দ দরজার ওপাশে কান পেতে থাকা প্রায়াণেরও কানে বিদ্ধ হয়।
নিশুতি চলে আসতেই প্রায়াণের বোধোদয় হয়। সে বুঝতে পারে কত বড় ভুল সে করে ফেললো। নিজের মায়ের উপর জমা রাগ টা তার ওমন মিষ্টি বউটার উপর দিয়ে কোন আক্কেলে যে তুলতে গেলো! তারপর নিজেই আসে দৌড়ে কিন্ত নিশুতির এই জীবন্ত হাসি শুনে তার আর ইচ্ছে করে না নিশুতিকে ডাকতে। থাক না আজকের রাত টা দু বান্ধুবী একই সাথে। করুক না মন খুলে গল্প...এতে যদি নিশুতির মনের মেঘ সরে যায়। তবে তাই বেশ..!
প্রায়াণ ধীর পায়ে আবার নিজের রুমে চলে যায়। তার উপস্থিতি একেবারেই জানান দেয় না ওদের।
নিজের রুমে এসে বারান্দায় চলে যায় প্রায়াণ। আজ রাত টা না ঘুমালে একটুও ক্ষতি হবে না। আকাশে চাঁদ নেই। তবে চাঁদের আলোর অভাব পূরণ করছে ছোট বড় হাজার হাজার তারা মিলে। অন্তরীক্ষ কি ভীষণ সুন্দর! প্রায়াণ কতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে ঐ আকাশ দেখে। বায়ুতে শীত রাজা সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ প্রায়াণের ঠান্ডা লাগছে না মোটেও।একটা গা ছাড়া গা ছাড়া ভাব এসে ঘিরে ধরলো তার চারিপাশে। ঠান্ডা অথচ শক্ত ফ্লোরের উপর হাত পা ছড়িয়ে আরাম করে শুয়ে পড়ে প্রায়াণ। কিছুক্ষণ ওভাবেই শুয়ে থেকে একটা সিগারেট জ্বালে। রাত টা আজ এই সিগারেট আর কিছু এলোমেলো স্মৃতির ভিড়েই হারিয়ে যাক।
__________________________________________
কুয়াশার মায়াজাল বেধ করে একটা পেলব আলোয় প্রকৃতি ভরে উঠছে ধীরে ধীরে। নিশুতি মিটিমিটি করে তার চোখজোড়া খুললো। প্রতিদিন এর মতোই তার বাম পাশে ঘুরে তাকায়। প্রায়াণের জায়গায় প্রেমাকে দেখতে পেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস আছড়ে পড়ে বুকের পাড়ে। জামা ঠিক করে নিয়ে উঠে বসে নিশুতি। অবিচ্ছিন্ন,এলোমেলো চুলগুলো পেঁচিয়ে হাত খোপা করে নেয়। তারপর কিছুক্ষণ প্রেমার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
বিছানায় প্রায়াণ নেই। নিশুতির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এত ভোরে কই যাবে লোকটা! নিশুতি উঁকি ঝুকি মেরে বাথরুম দেখে নেয়। নাহ,নেই সেখানেও। বালতির পানি একদম স্থির। মেঝে শুকনো। সারা রাতেও যে কারো পা পড়ে নি বাথরুমে নিশুতি তা বুঝতে পারে।
বেলকনিতে উঁকি দিতেই নিশুতি চমকে যায়। গুটিশুটি মেরে প্রায়াণ ঘুমিয়ে আছে। ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছে। সারা রাত কি এখানেই ছিল ছেলেটা! নিশুতি ঘুম ভাঙা চোখে একগুচ্ছ প্রশ্নের মেলা। সে তড়িঘড়ি করে প্রায়াণ কে ডাকতে ব্যস্ত হয়ে যায়।
"শুনতেছো? ঐ ব্যাটা। উঠো। প্রায়াণ....এই প্রায়াণ....উফফফ!!"
নিশুতির ধাক্কাধাক্কিতে প্রায়াণের ঘুম ভেঙে যায়। ঢুলু ঢুলু ভাবে উঠে বসে সে। একটা প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকায় নিশুতির দিকে। নিশুতি চোখ গরম করে তাকায়। প্রায় চিৎকার করে বলে,
"তুমি এখানে ঘুমাইছো কালকে?? তোমার কি হাটুর তলে বুদ্ধি? এই ঠান্ডায় এইখানে ক্যান আইসো?? ঐ বলো। ক্যান আইসো??"
প্রায়াণ উত্তর দিলো না। হাসলো শুধু। প্রায়াণের পাশেই এলোমেলো ভাবে সিগারেট এর টুকরো ছড়ানো ছিটানো। নিশুতি গর্জে উঠলো,
"তুমি সিগারেট খাইছো??"
প্রায়াণের হাসি নিমিষেই মিলিয়ে গেলো। নিশুতি একপ্রকার টানতে টানতে প্রায়াণকে এনে ছুড়ে মারে বিছানার উপর। হাত পা জমে ঠান্ডা হয়ে গেছে তার। বিছানা থেকে কম্বল উঠিয়ে কম্বল চাপা দেয় প্রায়াণ কে। চুলগুলো জোরে জোরে টানতে টানতে বলে,
"এখন ঘুমা। ঘুম থেইকা উইঠা ল। তোর সিগারেট আমি বাইর করমু!!"
প্রায়াণ নড়েও না। হুমকির ঠ্যালায় চোখ অফ করে দ্রুত। এবং খানিকবাদেই তার গাঢ় শ্বাস শুনতে পায় নিশুতি।
ফ্রেশ হয়ে ঝাড়ু এনে সিগারেট এর খোসা,টুকরো সব ঝাড়ু দিয়ে ফেলায়। এরপর বের হয়ে যায় নাস্তা তৈরির উদ্দেশ্যে..
__________________________________________
বেলা ১০ টা। বাসায় নিশুতি,মিনু শেখ,প্রায়াণ আর প্রত্যুষ। আজ প্রত্যুষের অফিস নেই। তবুও বাসায় লেপটপে অফিসেরই কিছু কাজ করছিল বসে বসে। ঠিক তখনি বেল বাজে। প্রত্যুষ উঠতে নিলে নিশুতি রান্নাঘর থেকে বের হতে হতে বললো,
"আমি খুলছি ভাইয়া।"
দরজা খুলে দেখে নম্রতা আটসাট হয়ে দাঁড়িয়ে।
নিশুতি দরজা থেকে সরে ভেতরে আসার আমন্ত্রণ জানায়। নম্রতা মুখে হাসি ফুটিয়ে ভেতরে এসে সোজা মিনু শেখ এর ঘরের দিকে চলে যায়। নিশুতি তার যাওয়ার দিকে একটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বেশ অনেক্ষণ। তার কাছে মেয়েটাকে ভালোই লাগে আগাগোড়া। কিন্তু তবুও মনটা খামচে ধরে মাঝে মাঝে। মনে হয় যেন মেয়েটা মুখোশ পড়ে থাকে প্রতিনিয়ত। আর এর মুখোশ এর ওপাশের চেহারা টা খুব ভয়ংকর। খুউউউব....
নিশুতির ঘোর কাটে প্রত্যুষের কথায়।
"ওভাবে কি দেখছো আপু?"
প্রত্যুষের এই একটা জিনিস বেশ মন কাড়ে নিশুতির। ছোট বড় সবাইকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা দিয়ে কথা বলে প্রত্যুষ ছেলেটা।
নিশুতি ঠোঁটে আলগা হাসি ফুটায়। বললো,
"কই ভাইয়া। কিছুনা।"
"আমি দেখছি। নম্রতার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছিলা!"
"না ভাইয়া। তেমন কিছু না।"
"এদিক আসো তো আপু। সোফায় বসো।"
নিশুতি বাধ্য মেয়ের মতো প্রত্যুষের আদেশ পালন করে। চুপটি করে সোফায়,প্রত্যুষের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে বসে।
প্রত্যুষ কোলের উপর থেকে লেপটপ সরিয়ে নিশুতির দিকে সোজাসুজি ঘুরে বসে।
"নম্রতা প্রায়াণের বাগদত্তা ছিলো। এটা জানো তো?"
নিশুতি মাথা কাত করে। অর্থাৎ সে জানে।
প্রত্যুষ আবার বলে,
"অথচ প্রায়াণের স্ত্রী এখন তুমি। সেক্ষেত্রে নম্রতাকে দেখলে তোমার একটু কেমন কেমন লাগতেই পারে। স্বাভাবিক। তবে আমি তোমার একটা ডাউট ক্লিয়ার করতে চাই। প্রায়াণ কিন্তু কখনোই নম্রতার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড ছিল না। ইন ফ্যাক্ট,ও কোনো মেয়ের উপরেই কখনো ইন্টারেস্ট প্রকাশ করেনি। হি হ্যাজ আ লটস অফ গার্লস ফ্রেন্ড। বাট দে আর অনলি ফ্রেন্ড, নাথিং এলস। বুঝছো?"
নিশুতির একটু গর্ব গর্ব লাগে। বুক ফুলে যায় প্রায়াণের প্রতি। যে ছেলেটা এত শিক্ষিত, এত ভালো, অথচ কখনো কোনো মেয়ের সাথে তার তেমন কিছুই ছিল না আর না সে কারো প্রতি আগ্রহী ছিল। সেই ছেলেটা নিজ থেকেই তার জীবনে এসে তার জীবন সঙ্গী হয়েছে।
প্রত্যুষ আবারও বললো,
"যখন ফার্স্ট টাইম আমি জানতে পারি যে প্রায়াণ লাভ ইউ। তোমাদের রিলেশন আছে। আমি জাস্ট অবাক হই। কত সুন্দরী,কত হাইফাই লেভেলের মেয়েরা প্রায়াণ কে চেয়েছে অথচ প্রায়াণ ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সেই কিনা তোমার মতো একজন কে...আমি তোমাকে ছোট করে বলছিনা। জাস্ট কথার কথা বলছি। কিন্তু এখন বুঝতে পারতেছি কেনো প্রায়াণ তোমাকে ভালোবাসছে। কারন তোমার ভেতরে কেমন যেন একটা জিনিস আছে। বুঝলা নিশুতি? দেখলেই তোমার উপর মায়া,ভালোলাগা সৃষ্টি হয়ে যাবে যে কারোরই। যাইহোক,আমি শুধু এখন এটুকুই দোয়া করি,তোমরা সুখে থাকো। শান্তিতে থাকো আপু।"
নিশুতি মুগ্ধ হয়। অভিভূত হয়। মিষ্টি গলায় বলে,
"দোয়া করবেন ভাইয়া।"
__________________________________________
কালকে রাতে প্রায়াণ আর নিশুতির ঝগড়ার কথাটা শুনতেই নম্রতার মুখে একটা পৈচাশিক হাসি ফুটে উঠে। সে গদগদ হয়ে মিনু শেখ এর গলা জড়িয়ে ধরে দু হাতে...
বলে,
"আন্টি ইউ আর জাস্ট অসাম...লাভ ইউ আন্টি।"
__________________________________________
দুপুরের আজান পড়বে আর কিছুক্ষণ বাদেই। প্রায়াণ ঘুমিয়ে এখনো। নিশুতি রান্নাবান্না শেষে ঘরে যায় তার। উল্টো হয়ে এলোমেলো ভাবে প্রায়াণ কে ঘুমাতে দেখে মুচকি হাসে সে।
গুচ্ছ গুচ্ছ কিছু অবিন্যস্ত চুল প্রায়াণের খোলা কপালের বেশ খানিকটা জুড়ে..বিচরণ করছে।
নিশুতি আঙুলের ডগা দিয়ে সরিয়ে দেয় সেসব। একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলে যায় মাথায়। প্রায়াণের মোটা নাক টা চেপে ধরে আঙুল দিয়ে। ভীষণ টাইট করে।
শ্বাস নিতে না পেরে গলা কাটা মুরগীর মতো হাসফাস করতে করতে উঠে যায় প্রায়াণ। নিশুতি ভারি মজা পায়। বাচ্চাদের মতো হাতে তালি দিয়ে সে খিলখিলিয়ে হেসে উঠে।
প্রায়াণ উঠে বসে বিছানায়। হাত দিয়ে নাক ডলতে থাকে। কপট রাগী চোখে নিশুতির দিকে তাকায়। মেয়েটা দিন দিন বদের হাড্ডি হচ্ছে। নিশুতি সে দৃষ্টি লক্ষ করে চুপসে যায়। পরমুহূর্তেই একটা ভাব আনে শরীরে। কর্কশ গলায় বলে,
"গোসল করে নামাজে যাও।"
বলেই উঠে যেতে নেয় প্রায়াণের পাশ থেকে। প্রায়াণ নিশুতির হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে নিজের কাছে।
"রাঙা পরী। কোথায় যাও?"
প্রায়াণের আহ্লাদী গলা।
নিশুতি মুখ ঝামটে বলে,
"জাহান্নামে।"
"ছি ছি! এসব কি কথা। এগুলো বলতে নেই সোনা।"
নিশুতির মাথাটা নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরে প্রায়াণ। নিশুতি মোচড়াতে মোচড়াতে উঠে পড়ে।
ঝাঁঝ গলায় বললো,
"ঢং মারাবা না। সরো তো।"
প্রায়াণ হতবিহ্বল।
হালকা গলায় বললো,
"ঢং মারাবা না? এটা কী ধরণের ভাষা নিশুতি??"
নিশুতি আগের মতোই ঝাঁঝালো গলায় বললো,
"বাল ধরণের কথা। ছাড়বা তুমি আমারে??"
নিশুতির চোখ দিয়ে আগুন ঝরে পড়ছে। এই মুহুর্তে তার কাছে ক্ষমতা থাকলে সে চোখ দিয়েই অগ্নিবর্ষণ করতো প্রায়াণের উপর। প্রায়াণ ভয় পায়। নিশুতিকে ছেড়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলে,
"এ কেমন বউ। একটু আদর তো করেই না,আবার করতেও দেয় না। খালি বকা দেয়।"
নিশুতি বিছানা গুছাতে গুছাতে বললো,
"ঢং না দেখাইয়া যাইয়া গোসল করো।"
তারপর একটু চেঁচিয়ে বললো,
"নামাজের ওয়াক্ত চলে যাবে পরে।"
প্রায়াণ চেঁচানির ঠ্যালায় দু'হাতে কান চেপে ধরে। ব্যস্ত গলায় বললো,
"যাচ্ছি যাচ্ছি।"
প্রায়াণ চলে যেতেই নিশুতি আবার খিলখিল করে হেসে উঠে। বেশ শব্দ করে...
চলবে....

Comments

Popular posts from this blog

মুখোশের আড়ালে - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-১৯)

রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (সকল পর্ব ১-২৬)

ধোঁয়াশা - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২১)