রঙ চা - মাহফুজা মনিরা (পর্ব ৯)


নিশুতিকে একদৃষ্টিতে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রায়াণ লজামাখা মুচকি হাসি দিলো। সেই হাসি যেন নিশুতির বুকে তোলপাড় শুরু করলো। নিশুতি বিরবির করে বললো,
-------এই হাসি যে কাউকে পাগল করে দিতে বাধ্য....বাধ্য...
প্রায়াণ শুনেও না শোনার ভান করলো। বিছানা ছেড়ে উঠে ডিভানের পাশে দাঁড়িয়ে বললো,
---------সারাদিনে তো কিছু খাওনি। ক্ষিদে পায়নি??
সেই মুহুর্তেই নিশুতির মনে হলো তার পেট মোচড় দিয়ে উঠছে। নিশুতি পেটে হাত চেপে বললো,
---------খুব পেয়েছে।
---------কি খাবে??
---------ঝাল ঝাল মুরগীর মাংস দিয়ে সাদা ভাত।
প্রায়াণ আবারো হাসলো নিশুতির কথা শুনে। নিশুতি মুগ্ধ হয়ে সে হাসি দেখলো। আচ্ছা ছেলেটা কি হাসির ডিব্বা! এত হাসে কেন?
--------তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি খাবারের অর্ডার করে আসছি।
প্রায়াণ রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। নিশুতির তখন মনে পড়লো প্রায়াণ তো একটা চেক চেক নেভি ব্লু শার্ট পড়েছিল কাল রাতে। তাহলে এখন এই কালো টি-শার্ট পেলো কোথায়!!
কিছুক্ষণ বাদেই প্রায়াণ এলো। সাথে একজন রিসোর্ট বয়। তার হাতে ট্রে....ট্রে তে খাবার। সে এসে খুব আলগোছে ডিভানের উপর সব খাবার গুছিয়ে রেখে চলে গেলো।
নিশুতি ঝাপিয়ে পড়লো খাবারের উপর। কাল রাত থেকে পেটে একফোঁটা পানিও পড়ে নি তার।
নিশুতি একমনে গিলে যাচ্ছে আর প্রায়াণ তার দিকে চেয়ে আছে। নিশুতি বুঝতে পেরে লজ্জা পেলো। খাওয়া থামিয়ে মিহি কণ্ঠে বললো,
--------এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? লজ্জা করছে আমার।
প্রায়াণ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। নিশুতির পাশ থেকে উঠে পড়লো। টি শার্টের গলা ঠিক করতে করতে বললো,
--------খেয়ে নাও। আমি একটু নিচে যাচ্ছি।
নিশুতি প্রায়াণের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বললো,
--------কোথায় যাচ্ছেন?
--------কফি নিয়ে আসতে।খাবে?
নিশুতি কিছু সেকেন্ড চুপ থেকে বললো,
--------খাবো।
---------ঠিক আছে। দুটো কফি নিয়ে আসি তাহলে।
নিশুতি মাথা ঝাকিয়ে সম্মতি জানায়। প্রায়াণ বেরিয়ে যেতে নিলেই নিশুতি ডাকে,
--------শুনোন।
প্রায়াণ পেছন ঘুরে তাকায়।
--------কিছু বলবে??
--------আপনি এই জামা প্যান্ট কোথায় পেলেন??
প্রায়াণ স্মিত হেসে বলে,
--------দুপুরে তুমি ঘুমিয়ে ছিলা যখন বাহির থেকে রুম তালা মেরে বের হয়েছিলাম। পাশেই একটা ছোট্ট শপিংমল আছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কিছু কিনে নিয়ে আসলাম।
নিশুতি বিষ্ময়ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে বললো,
-------আপনি আমাকে একা রেখে চলে গেছিলেন?
-------হ্যাঁ তো??
নিশুতি কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,
-------আপনি পারলেন একা ফেলে যেতে? যদি কিছু হয়ে যেতো আমার!
প্রায়াণ আমতাআমতা করে বলে,
--------আমি তো বাহির থেকে তালা মেরেই গেছিলাম! কে কি করবে তোমার??
নিশুতি প্রায় চেঁচিয়ে বললো,
--------আমি একা রুমে থাকতে পারিনা। ভয় করে আমার।
প্রায়াণ হেসে ফেললো। মেয়েটা যত সাহসী দেখায় নিজেকে তত আসলে না!
নিশুতি কটমট করে প্রায়াণের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রায়াণ কোনোমতে হাসি থামিয়ে বলে,
-------ওকে বাবা আর যাবো না তোমাকে একলা ফেলে। এবার কফি আনতে যাবো কী??
নিশুতি মিনমিনে স্বরে বলে,
---------তাড়াতাড়ি আসবেন।
--------আচ্ছা।
প্রায়ান বেরিয়ে যায়। নিশুতি ভাবতে থাকে সে তো একা থাকতে পারে না৷ তাহলে যদি প্রায়াণ না আসতো তখন কি করতো বা একা একরুমে থাকতোই বা কিভাবে!! নিশুতি মনে মনে ভাবে প্রায়াণ কি করে তার মনের খবর বুঝে যায় কে জানে! তবে ভালোই হয়েছে প্রায়াণ এসে। নয়তো সে হয়তো একদিনও লুকিয়ে থাকতে পারতো না সিলেট...
প্রায়াণ কফি হাতে এসে দেখে নিশুতির খাওয়া শেষ কিন্তু সে রুমে নেই। প্রায়াণ হালকা গলায় ডাকে,
--------নিশুতি...নি...
নিশুতি বারান্দা থেকে মুখ বের করে জবাব দেয়,
-------আমি বারান্দায়। কফি নিয়ে এখানেই আসুন।
প্রায়াণ দরজা লক করে বারান্দায় আসে। বারান্দায় দুটো বেতের সোফা পাতা মুখোমুখি। নিশুতি তার একটায় বসা। প্রায়াণ অন্য সোফায় বসে। নিশুতির হাতে কফি তুলে দেয়।
নিশুতি বারান্দা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে বলে,
-------দেখুন। কি সুন্দর প্রাকৃতিক চিত্র!
প্রায়াণ দায়সারাভাবে জবাব দেয়,
--------এর থেকেও বেশি সুন্দর অনেক জায়গা সিলেটের। সিলেট মানেই একটা সুন্দরের কারখানা। এখানের সব কিছু সুন্দর। এখানের পথঘাট, লোকালয়, মানুষজন, তাদের আচার ব্যবহার, তাদের লাইফস্টাইল,তাদের খাওয়া দাওয়া...সব....সবকিছুই সুন্দর।বেশি সুন্দর এদের থাকার এই প্রকৃতি।
নিশুতি মুগ্ধ দৃষ্টিতে বাহিরে তাকিয়ে থেকে জবাব দেয়,
-------হুম। আসলেই...
তারপর দুজনেই চুপচাপ। থেমে থেমে কফিতে চুমুক দিচ্ছে দুজনেই।
হঠাৎ করে প্রায়াণের পকেটে থাকা ফোন বেজে উঠে। প্রায়াণ ফোন বের করে। একবার তাতে চোখ বুলিয়ে ফোন কেটে দেয়। তারপর আবার পকেটে ফোন ঢুকায়। নিশুতি আঁড়চোখে পুরো ব্যাপারটা খেয়াল করে।
কিন্তু এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করে না সে। পায়ের উপর পা তুলে শাহী ভঙ্গিতে কফিতে চুমুক দিয়ে বলে,
-------রিসিপশনে কি পরিচয় দিয়েছেন আমাদের??
প্রায়াণের কফি খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রশ্নের ভয় টাই পাচ্ছিল সে।
নিশুতি আবারো বলে,
-------কি হলো বলুন!
প্রায়াণ প্রসঙ্গ পাল্টাতে চায়।
-------তেমন কিছুই না। আচ্ছা নিশুতি কতদিন এভাবে পালিয়ে বেড়াবা??
নিশুতি কাঠ গলায় বলে,
------কথা ঘুরাবেন না। উত্তর দিন।
প্রায়াণ মাথা নিচু করে দুর্বল গলায় বলে,
------আসলে ভাই বোন পরিচয় তো আর দিতে পারিনা! আর বিএফ জিএফ পরিচয়ও দেওয়া যেতো না। এতে খারাপ ভাবতো অনেকেই! তাই হাজবেন্ড ওয়াইফ...
-------স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়েছেন আমাদের এইতো?
প্রায়াণ নিশুতির দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে জবাব দেয়,
-------হুম।
নিশুতি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
-------ভালোই করেছেন। এই পরিচয় টাই ঠিক আছে।
প্রায়াণ অবাক হয় প্রচুর। কিন্তু প্রকাশ করে না। স্বাভাবিক হয়ে বলে,
-------কেন? এই কথা কেন বললে??
নিশুতি জিহ্বে কামড় কাটে। সে নিজেও জানে না এই কথা সে কেন বললো বা কেন মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো!
নিশুতি কিছুক্ষণ ভেবে বলে,
--------আসলে জিএফ বললে মানুষ আমাকে খারাপ নজরে দেখতো। ভাবতো একটা মেয়ে কি করে জিএফ এর সাথে একরুমে একসাথে থাকছে! ব্যাপারটা কেমন না?? তাই এটাই ঠিক আছে। স্বামী স্ত্রী কে নিয়ে তো কেউ আর খারাপ কিছু ভাববে না।
প্রায়াণ স্বস্তি পায়। যাক নিশুতি তাহলে মাইন্ড করেনি। নিশুতি প্রায়াণের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসি দেয়।
আবারও প্রায়াণের ফোন বেজে উঠে। সাথে সাথে প্রায়াণের মুখেও বিরক্তি ভাব চলে আসে একটা। নিশুতির চোখে পড়ে তা। প্রায়াণ ফোন টা কেটে দিয়ে সাইলেন্ট করে দেয়।
নিশুতি বিষয় টা লক্ষ করে। খুব স্বাভাবিক গলায় বলে,
--------কে ফোন করছে বারবার? ধরছেন না যে!
প্রায়াণ কণ্ঠে রাগ নিয়েই বলে,
-------কেউ না বাদ দাও।
নিশুতি আর কথায় বাড়ায় না। যার যার পারসোনাল ম্যাটার থাকতেই পারে! সেটাকে বেশি খোঁচাখুঁচি করা উচিত না কারোরই।
নিশুতি আবার কফি খাওয়ায় মনোযোগ দেয়।
.
.
নাসির হোসেনের সামনে ঠান্ডা হয়ে বসে আছে আজহার হোসেন। নাসির হোসেনও শান্ত চোখে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে নিজের বড় ভাইকে।
অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর শান্ত গলাতেই বলে,
-------নিশু কই নাসির?
নাসির হোসেন সেই লেভেলের অবাক হওয়ার ভান করেন। সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত গলায় বলেন,
-------নিশুতি কই মানি? ও বাসায় নেই?? আমার ভাতিজি কই???
তারপর শারমিন হোসেনের দিকে অগ্নি দৃষ্টি বর্ষণ করেন। শারমিন হোসেন ভয়ার্ত গলায় বলে,
------আমি কিছু করিনি। নিশুতিকে সকাল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
নাসির হোসেন চটে যান। ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলেন,
-------ভাবী তুমিই গায়েব করছো নিশুতিকে। আমি সিউর। বলো কই আছে আমার ভাতিজি!
শারমিন হোসেন ভয় পান। তিনি ছবিতে এমন বহুত কাহিনী দেখেছে যেখানে সৎ মেয়ের কিছু হলে পুলিশ এসে আগে ধরে সৎ মাকে।
শারমিন হোসেন এবার প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে বলেন,
-------বিশ্বাস করো ভাই। আমি কিছু করিনি। আমি কিছু জানিনা।
আজহার হোসেন উঠে দাড়ান৷ নাসির হোসেন কে উদ্দেশ্য করে বলে,
------তুইও জানিস না নিশু কই??
------আজব তো! আমি কিভাবে জানবো!
আর নিশুতি বাসা ছেড়ে পালাবেই বা কেন?? কিছু করছো তোমরা??
শারমিন হোসেন মুখ ফসকে বলতে নেয় নিশুতিকে বিয়ে দেওয়ার কথা। আজহার হোসেন চোখ রাঙানি দিয়ে উঠে। এই খবর নাসির জানলে কেয়ামত করে ছাড়বে। নিশুতি তার কলিজা...
আজহার হোসেন কিছু না বলে বেরিয়ে যান। শারমিন হোসেন ব্যাগ কাধে চাপিয়ে বলেন,
--------আমরা আরো ভেবেছিলাম নিশুতি তোমার কাছে এসেছে ভাই তাই তোমার কাছে আসছিলাম। এখন তো দেখছি তুমিই জানো না ওর খবর! আচ্ছা আজ যাই। ওর কোনো খবর পেলে জানাবো।
শারমিন হোসেন চলে যায়। পা কাঁপছে তার। নাসির হোসেন কে জমের থেকেও বেশি ভয় পায় সে।
তারা চলে যেতেই নাসির হোসেন ভেতরের ঘরে যান। ইফতির নাম্বারে ফোন করে।
-------হ্যালো কাকা।
-------ভাইয়েরা চলে গেছে। আমার উপর সন্দেহ করেনি।
-------আমার উপরেও করেনি। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে অন্য জায়গায়।
নাসির হোসেন কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ ফেলে বলেন,
--------কী?
--------যদি আব্বু আম্মু পুলিশে মিসিং ফাইল করে তখন?
নাসির হোসেন মৃদু হাসেন।
--------নিশুতি চলে যাওয়ায় তাদের ভালোই হয়েছে।আমি চিনি আমার ভাই ভাবী কে। বুঝছো? দেখবা আজকেই তারা ভুলে যাবে যে নিশুতি নামের তাদের কেউ ছিল! তারা জীবনেও যাবে না থানায়।
ইফতি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
--------না গেলেই ভালো কাকা।
--------হুম। নিশুর সাথে কথা হইছে?
---------হ্যাঁ সকালে হইছিল। আর হয়নি। ভাবছি এখন কল করবো আবার।
---------আচ্ছা। রাখছি তবে।
--------ওকে কাকা।
ইফতি ফোন রেখে দেয়। ফোনে টাকা নেই তার। নিচে যেয়ে টাকা ভরতে হবে। নিশুতিকে ফোন করতে হবে দ্রুতই। মেয়েটা কি অবস্থায় আছে কে জানে!!
.
.
.
নিশুতি তার ব্যাগ এর জামা কাপড় গুলো ভাঁজ করছিল। প্রায়াণ বারান্দায় বসা।
হঠাৎ একটা রিনরিনে আওয়াজ তার কানে ভেসে উঠে।
-------ব্যস্ত ছিলাম তাই ফোন ধরিনি।
--------হুম আমি বরিশাল আছি। স্পোর্টস টিমের সাথে এসেছি। ম্যাচ আছে এখানে। খেলা শেষে চলে আসবো।
--------তুমিও নিজের খেয়াল রেখো। রাখছি বায়।
প্রায়াণ কথা বলছিল কারো সাথে ফোনে। নিশুতি কান পেতে সব শুনে ফেলে। এরপর আবার বিছানার উপর গিয়ে চুপচাপ বসে থাকে সে৷ কার সাথে কথা বললো প্রায়ান! আর কেইবা এত ফোন করে প্রায়াণ কে! গার্লফ্রেন্ড??
নিশুতির বুকের ভেতর টা মোচড় দিয়ে উঠে। হুট করেই চোখ ভাঙা কান্না পায় তার। নিশুতি নিজেও বুঝতে পারছে না কেন প্রায়াণের গার্লফ্রেন্ড থাকবে শুনে তার এত খারাপ লাগছে! তাহলে কি প্রায়াণের জন্য তার মনেও কোনো সফট কর্ণার আছে? আচ্ছা,প্রায়াণ তো বলেছিল সে নিশুতিকে ভালোবাসে। তাহলে আবার গার্লফ্রেন্ড আসলো কোত্থেকে!! একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়না নিশুতি। প্রায়াণ বারান্দা থেকে রুমে আসে। নিশুতিকে থম মেরে বসে থাকতে দেখে আৎকে উঠে সে।
-------এই নিশুতি। নিশু....
নিশুতির গায়ে হাত রাখতেই নিশুতি নেতিয়ে পড়ে বিছানায়। প্রায়াণের সারা শরীর কেঁপে উঠে। মেয়েটা হুট করে এভাবে অজ্ঞান হয়ে গেলো!!!
.
.
রাত ১০ টা। নিশুতি গভীর ঘুমে। জ্ঞান ফিরে এসেছে অনেক আগেই কিন্তু এখন ঘুমে আছে। প্রায়াণ তার মাথার কাছে বসে আছে। খানিক বাদে বাদে নিশুতির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ধীরে ধীরে।
হঠাৎ একটা শব্দ ভেসে আসে প্রায়াণের কানে। প্রায়াণ শব্দের উৎস খুঁজে পায় নিশুতির ব্যাগের ছোট পকেট টায়।
প্রায়াণ চেইন খুলতেই দেখে একটা ছোট বাটন ফোন। কেউ ফোন করছে...
আননোন নাম্বার!
প্রায়াণ সাত-পাঁচ না ভেবে কল রিসিভ করে।
--------হ্যালো।
ছেলে কণ্ঠ শুনে ইফতি খট করে ফোন রেখে দেয়। মাথা চক্কর দিয়ে উঠছে তার। নিশুতির ফোন কে ধরলো এটা! কে আছে নিশুতির সাথে....নিশুতি কোনো বিপদে নেই তো!!
চলবে.....

Comments

Popular posts from this blog

মুখোশের আড়ালে - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-১৯)

ধোঁয়াশা - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২১)

কলঙ্কের ফুল - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২৯)