কলঙ্কের ফুল - সাজি আফরোজ (পর্ব ১৪)

valobashar golpo,bangla valobashar golpo,valobasar golpo,valobashar golpo bangla,bangla sad valobashar golpo,valobashar kobita valobashar golpo,valobashar kotha,valobashar golpo audio,valobashar golpo voice,valobashar golpo natok,bhalobashar golpo,koster golpo,udash valobasha,sad valobashar golpo,valobashar golpo song,valobashar golpo 2018,valobashar golpo kotha,abegi valobashar golpo,valobashar golpo video

সারারুমে জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো, পুরো রুম অগোছালো হয়ে আছে দিবার। মেঝেতে বসে অঝর ধারায় চোখের পানি ফেলে চলেছে দিবা।
.
দিবার এমন অবস্থা দেখে মেহেরীকা তার রুমে এসে, দরজা বন্ধ করে এগিয়ে গিয়ে মেঝেতে বসে পড়ে দিবার পাশে।
আচমকা মেহেরীকার উপস্থিতি বুঝতে পেরে দিবা তার উড়না দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো-
ভাবী তুমি?
-ভাগ্যিস আমি এসেছি। মা হলে তোমার এমন অবস্থা দেখে কতো কষ্ট পেতেন ভেবে দেখেছো? রুমের এই অবস্থা করলে কেনো? তোমারি বা এই অবস্থা কেনো?

দিবার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে মেহেরীকা বলে-
কি হয়েছে দিবা? কাল থেকে তোমাকে উদাসীন দেখছি। আমাকে বলা যায় কি হয়েছে? যদি তোমায় সাহায্য করতে পারি কোনো?
.
এবারও দিবার কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে মেহেরীকা উঠে অগোছালো রুমটা পরিষ্কার করতে থাকে।
.
.
.
-কি অবাক কাণ্ড ঘটে গেলো তাইনা?
.
সালেহা চৌধুরীর কথায় হাতের পত্রিকাটা বিছানার এক পাশে রেখে আমজাদ চৌধুরী প্রশ্ন করেন-
কি কাণ্ড?
-কি কাণ্ড! আমাদের আদি আজ অফিসে গিয়েছে। অবাক হওয়ার কথা নয় বলো?
-অবাক হওয়ার কি আছে! ঘরে বউ এসেছে, টাকাপয়সার দরকার এখন। আক্কেল খুলেছে আর কি।
-মেহেরীকার জন্য খুলেছে। সেই রাজী করিয়েছে। দেখেছো? এই মেহেরীকাই আমাদের আদির জন্য যোগ্য।
-সেটাই যদি হতো এতোদিন কেনো সে অফিসে গেলোনা?
-এতোদিন মেহেরীকা আমাদের বাসায় ছিলো? নাতো। এখন এসেছে। এখন সে আদিকে সোজা করে তুলবে।
-করলেই ভালো।
.
.
.
রাজীবের সাথে বাসার ভেতরে ঢুকে ড্রয়িংরুমে এসে কাসেম আহম্মেদ সোফার উপর বসে বলেন-
বসো।
.
রাজীব বসতে বসতে বললো-
ধন্যবাদ।
-কি এতো দরকার আমার সাথে? একেবারে সকাল সকাল দোকানে এসে আমার খোঁজ?
.
কোনো সংকোচ ছাড়াই রাজীব জবাব দেয়-
মেহেরীকা কোথায়?
.
নিজের রাগ সংযত করে কাসেম আহম্মেদ বলেন-
বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়েছে।
-কোনো খবর পাননি?
-নাহ।
.
কাসেম আহম্মেদ এর কথা শুনে অবাক চোখে তাকিয়ে রাজীব প্রশ্ন ছুড়ে-
এভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে আছেন কেনো? মেহের কোথায় আছে তা খবর নেওয়া আপনাদের দায়িত্ব নয় কি?
.
-তুমি শিখাইতে আসছো দায়িত্ব? তা তোমার কি ওই মেয়ের প্রতি কোনো দায়িত্ব ছিলোনা? প্রেম পিরিত করছো, আংটি পরাইছো। শেষ সময়ে এসে ছুড়ে ফেলে দিছো। এতো কিছুর পর এখন কোন মুখে এখানে এসব বলতে আসো তুমি?
.
রেশমা আহম্মেদ এর মুখে এমন কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় রাজীব। আসলেইতো! সে নিজেও অপরাধী, সে কি করে তাদের দোষারোপ করতে পারে?
.
শান্ত গলায় রাজীব কাসেম আহম্মেদ এর উদ্দেশ্যে বলেন-
যা হওয়ার হয়েছে আঙ্কেল, মেহের কে খুঁজে বের করতে হবে।
.
গম্ভীর মুখে কাসেম আহম্মেদ বললেন-
কেনো? সে যেখানে আছে নিশ্চয় ভালো আছে, তাই যোগাযোগ করছেনা। সত্যি বলতে তাকে এই নরকে আমি আনতে চাইনা। কিসের আশায় আসবে সে এখানে?
-আমার কাছে আসবে আমার মেহের।
.
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে কাসেম আহম্মেদ বললেন-
তোমার আশায়? হাসালে আমায়।
-আমি জানি আমার মুখে এই কথা মানায় না। কিন্তু এবার আর কোনো ভুল আমি করবোনা।
প্লিজ মেহের কে খুঁজতে সাহায্য করুন আমায়।
-কিভাবে সাহায্য করতে পারি তোমায়?
-আমার সাথে থানায় চলুন। একটা ডায়েরী.....
-না, একদম না। থানায় গেলে সব কিছু সামনে চলে আসবে। আমি চাইনা এমনটা হোক।
-কিন্তু.....
-কোনো কিন্তু নয়। তুমি এইরকম কিছু করবেনা বলে দিলাম। আর আমার বিশ্বাস, আমার মেয়ে যেখানে আছে ভালোই আছে। এখানে, তোমার কাছে ফিরে আসার কোনো প্রয়োজন নেই তার। তুমি আসতে পারো এখন।
.
.
.
-এই রুমটা পছন্দ হয়েছে তোর?
.
কুনসুম হক এর প্রশ্নে জবাব দেয় সুপ্তি-
হুম হয়েছে।
.
সুপ্তির মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে কুনসুম হক বলেন-
মুখ ভার করার কি আছে! বিয়ের পর রাজীবের রুমে থাকতে পারবি। ততদিন না হয় এই রুমেই থাক বাবা।
.
কুনসুম হকের কথায় ফিক করে হেসে দেয় সুপ্তি।
তার হাসি দেখে কুনসুম হক বললেন-
এইতো... এখন এই বাড়ির বউ এর মতো লাগছে তোকে।
-বউতো হয়নি এখনো।
-আর কদিন আছে হতে!
-হুম। তবে আমি রুম নিয়ে মুখ মলিন করিনি।
-কি নিয়ে করেছিস?
-এতো তাড়াতাড়ি এসেও রাজীব কে পেলাম না আমি। তার কর্মস্থল চট্রগ্রামে। তাহলে এখানে সে এতো সকালে কোথায় গিয়েছে?
.
সুপ্তির কথা শুনে আমতাআমতা করে কুনসুম হক বলেন-
বন্ধুদের সাথে বাইরে গেলো। চলে আসবে এখুনি।
.
.
.
দিবার রুম গুছিয়ে দিয়ে মেহেরীকা পা বাড়ায় দরজার দিকে।
তখনি দিবা ডেকে বলে-
ছোট ভাবী?
-হু?
-আমার পাশে একটু বসবা প্লিজ?
.
দিবার পাশে গিয়ে মেহেরীকা তার পাশে বসতে বসতে বলে-
কেনো বসবোনা! আমিতো শুধু বসতে না, তোমার কি হয়েছে তাও শুনতে চাই। কিন্তু তুমি....
-তোমাকে ছোট ভাইয়া বিয়ের আগে রুম ডেট করতে বলেছে কখনো?
.
আচমকা দিবার এমন প্রশ্নে চমকে যায় মেহেরীকা। শান্ত গলায় জবাব দেয়-
নাহ, কেনো জিজ্ঞাসা করছো এমন প্রশ্ন?
-আমার একজনের সাথে সম্পর্ক হয়েছে ১বছর হলো। কাল তার সাথে ডার্ক রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিলাম। সে বলেছিলো কারো চোখে না পড়ার জন্যই ওখানে যাওয়া। কিন্তু.....
-কি?
-আস্তে আস্তে সে আমার সাথে অনেক ক্লোজ হয়ে যায়। আমিও হই। তবে বাসায় আসার পর এটার জন্য নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়। তাকে সেটা আমি জানায়। কিন্তু তার আমার কষ্টের কোনো দাম নেই। রাত ৩টাই ফোন করে লোভী কণ্ঠে বলে আমার নাকি তার সাথে রুম ডেট করতেই হবে। নাহলে আর সম্পর্ক রাখবেনা। অনেক বুঝিয়েছি তাকে। কিন্তু সে মানেনা। আমাকে নাকি সে খুব ভালোবাসে। আর দুইটা ভালোবাসার মানুষ এসব করতেই পারে। আসলেই কি পারে ভাবী?
-ছেলের পারিবারিক অবস্থা কেমন? সে যদি বিয়ের প্রস্তাব দেয় তোমার বাসায় মেনে নিবে?
-না নেওয়ার কারণ নেই।
-তাহলে তাকে বলো বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য। বিয়ের পর যা ভালোবাসা দেওয়ার দিতে। পারবেনা বলতে?
-হুম পারবো।
.
.
.
-তোমার ছেলের কাণ্ড দেখেছো?
.
হাতের বইটা বন্ধ করে কুনসুম হক এর দিকে তাকিয়ে রশিদ হক প্রশ্ন করেন-
কি?
-সুপ্তি আসবে সে জানে, তারপরেও সে বাইরে চলে গিয়েছে মেহেরীকার খোঁজে। এটা জানতে পারলে সুপ্তি কতোটা কষ্টা পাবে বুঝেছো?
-কষ্ট পাওয়ার কি আছে! সুপ্তি সবটা জেনেই রাজীব কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।
-আমার ভাই এর মেয়ে বলে হয়েছে। নাহলে তোমার ছেলের যেমন অবস্থা ছিলো, মেহেরীকার মতো ছোট পরিবারের মেয়ে ঘরে আনতে হতো। কি করেনি সুপ্তি ওর জন্য? তার বাবাকে বলে রাজিবের জন্য চাকরীর ব্যবস্থা করেছে। সে সময়ে যদি সুপ্তি তাকে এখান থেকে চট্রগ্রাম নিজেদের বাসায় নিয়ে না যেতো তোমার ছেলের অবস্থা কেমন হতো জানো? পাগলাগারদে থাকতে হতো তাকে।
-হুম।
-কতো ভালো চাকরি পেয়েছে সে। না তার হজম হয়নি। আবার চলে এসেছে এখানে।
মাস্টার্স শেষ করেও ওই মেহেরীকার চক্করে পড়ে নিজের জীবন গুছাতে পারেনি। আর এখন একটা গতি হয়েও হলোনা।
-এখনো কি মেহেরীকার দোষ?
-হুম ওই মেয়ের দোষ।
-কিভাবে? সেতো বলেনি চাকরি ছেড়ে চলে আসতে তোমার ছেলেকে।
-এতোকিছু তুমি বুঝবেনা। তবে এবার রাজীব কে ওই মেয়েকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে দিবোনা আমি। সুপ্তির সাথেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর বিয়েটা সেরে ফেলবো।
-যা ভালো বুঝো করো।
.
.
.
নিজের রুমে বসে দিবার বলা কথাগুলো মনে মনে আওড়াতে থাকে মেহেরীকা।
দিবা মেয়েটা ভালো, খুব ভালো। আদিয়াত এর মতোই ভালো। কিন্তু তার কথা শুনে তার বফ কে নিয়ে হটকা লাগছে মেহেরীকার। ছেলেটা আসলেই ভালোবাসেতো দিবাকে?
দিবা জিজ্ঞাসা করেছিলো আদি তাকে কখনো এমন প্রস্তাব দিয়েছে কিনা? কিভাবে দিবে? আদির সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিলোনা, ছিলো রাজীবের সাথে। রাজীব কি তাকে কখনো দিয়েছে? নাহ মনে পড়েনা। তবে না চাইতেও কিছু ভুল মানুষের জীবনে হয়ে যায়।
.
চোখ জোড়া বন্ধ করে মেহেরীকা ভাবতে থাকে প্রায় ২মাস আগের কথা।
-বাহ! তোমাকে এই লাল সিল্ক এর শাড়িটাই বেশ মানিয়েছে।
.
কুনসুম হক এর প্রশংসায় মুচকি হেসে বললো মেহেরীকা-
ধন্যবাদ আন্টি।
-আন্টি! আম্মা বলবা এখন থেকে। রাজীব আমায় আম্মা ডাকে। আর তোমার শ্বশুড়কে আব্বা ডাকবা।
-আচ্ছা।
.
-আম্মা....
.
মায়ের রুমে এসে মেহেরীকাকে সিল্ক এর শাড়িপড়া দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় রাজীব।
মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মেহেরীকার দিকে।
.
কুনসুম হক ছেলের অবস্থা দেখে বললেন-
কি আম্মা? চুপ হয়ে গেলি যে?
-আহ আম্মা! দেখতে দাওনা মেহের কে।
.
এই যাহ! কি বলে ফেলেছে রাজীব! মাঝেমাঝে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসে লজ্জায় লুকিয়ে যেতে ইচ্ছে করে মেহেরীকার।
রাগান্বিত চোখে রাজীবের দিকে তাকিয়ে বলে সে-
কাকে কি বলতে হয় জানোনা?
.
মেহেরীকার কথায় জ্বীভে কামড় বসিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে রাজীব বললো-
সরি আম্মা। আমি আসলে....
.
কুমসুম হক হাসতে হাসতেই বললেন-
থাক আর কিছু বলতে হবেনা।
-হুম।
-আমি মেহেরীকা কে শাড়ি পরা দেখিনি। এনগেজমেন্ট এর দিন সে গাউন পরেছিলো। তাই আজ কাছে পেয়ে শাড়ি পরিয়ে দেখলাম।
এতো বেশি ভালো লাগবে......
.
আর কিছু বলার আগেই কুনসুম হকের মোবাইলে রিং বেজে উঠে। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখেন রাজীবের চাচার ফোন।
-আসসালামু-আলাইকুম বড় ভাই।
-কুনসুম, একটু আসতে পারবা বাসায়? তোমার ভাবীর শরীরটা ভালো না। আমায় একটু দরকারে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। বিকেলেই চলে আসবো। বাসায় আর কেউ নেই এখন। তাই তুমি যদি....
-এতো সংকোচ করে বলার কি আছে বড় ভাই! আমি এখুনি আসছি।
.
ফোন রেখে রাজীব আর মেহেরীকার উদ্দেশ্যে কুনসুম হক বললেন-
ভেবেছিলাম আজ তোমাদের সাথে দুপুরের খাবার খাবো। কিন্তু রাজীবের চাচীর শরীরটা খারাপ, আমায় যেতে হবে ওখানে। তোমরা খেয়ে নিও। আমি বিকেলেই চলে আসবো। আর রাজীব দেখিস মেহেরীকার কিছু প্রয়োজন হয় কিনা।
-আমি পৌঁছে দেয় তোমায়?
-একটা চিএনজি ঠিক করে দে, চলে যেতে পারবো।
-আচ্ছা আসো।
.
.
মাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে রাজীব মায়ের রুমে এসে মেহেরীকাকে খুঁজে না পেয়ে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।
নিজের রুমে পা বাড়াতেই দেখতে পায়, বিছানার উপরে বসে মেহেরীকা তার ব্লাউজের পেছনের ফিতা খোলার চেষ্টা করছে।
-কি ব্যাপার? এসব খুলে আমাকে পাগল করে দেওয়ার চিন্তা করছো নাকি?
.
রাজীবের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যায় মেহেরীকার মুখ।
মৃদু হেসে বলে সে-
এগুলো আম্মার। ভাবছিলাম বদলে নিজের কাপড় পরি।
.
রাজীব এগিয়ে এসে মেহেরীকার দিকে হাত বাড়িয়ে বললো-
উঠো।
.
রাজীবের হাত ধরে মেহেরীকা উঠে দাঁড়াতেই রাজীব তাকে বলে-
পেছনে ঘুরো।
-কেনো?
-ঘুরোনা।
.
মেহেরীকা ঘুরে দাঁড়াতেই রাজীব ব্লাউজের ফিতায় হাত দিয়ে বলে-
গিট্টু মেরে দিয়েছো এক্কেবারে।
-থাক না, আমি খুলবো।
-না দেখে এই গিট্টু কিভাবে খুলবে শুনি?
আমি খুলছি।
.
ফিতা খুলার সময় রাজীবের হাত মেহেরীকার পিঠে খানিকটা স্পর্শ করছিলো। তাতেই মেহেরীকার পুরো শরীর শিহরিত হয়ে যাচ্ছিলো।
এদিকে ফিতা খুলে রাজীবের চোখ যায় মেহেরীকার ধবধবে সাদা পিঠের দিকে।
না চাইতেও তার
ঠোঁট জোড়া ছুঁইয়ে দিলো রাজীব মেহেরীকার পিঠে।
হঠাৎ রাজীবের এমন কাণ্ডে হতভম্ব হয়ে যায় মেহেরীকা।
মেহেরীকাকে নীরব দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আচমকা তাকে পাঁজকোলে উঠিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো রাজীব। রাজীবের এমন কাণ্ডে কি করা উচিত বুঝতে না পেরে চোখ জোড়া বন্ধ করে রাখে মেহেরীকা।
মেহেরীকাকে এমন অবস্থায় দেখে রাজীবের চোখ ছেয়ে যায় মুগ্ধতায়। আলতো করে মেহেরীকার গোলাপি ঠৌঁট জোড়ায় নিজের ঠৌঁট ছোঁয়াতেই কেঁপে উঠলো মেহেরীকা। খানিকক্ষণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে মেহেরীকার দিকে তাকিয়ে তার গলার ভাজে মুখ ডুবালো রাজীব। পরম আবেশে নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে মেহেরীকার।
.
.
.
-এই যে মহারাণী, মেহেরীকা?
.
ভাবনার জগতে হারিয়ে গিয়েছিলো মেহেরীকা। চোখ জোড়া খুলে সানিয়াকে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে যায় সে।
আচমকা মেহেরীকার হাত ধরে টেনে শোয়া থেকে বসিয়ে দেয় সানিয়া।
সানিয়ার এমন কাণ্ডে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
এটা কি ধরনের অসভ্যতা!
.
(চলবে)

Comments

Popular posts from this blog

মুখোশের আড়ালে - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-১৯)

ধোঁয়াশা - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২১)

কলঙ্কের ফুল - সাজি আফরোজ (সকল পর্ব ১-২৯)