Posts

Showing posts from October, 2020

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ১১)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_১১ Saji Afroz . সাইয়ারা কে দেখে অন্তরা আহম্মেদ এক গাল হেসে তাকে ভেতরে আসতে বললেন। মিন্নী এবং মেঘও ড্রয়িং রুমে আছে। তাদের পাশে এসে সোফার উপরে বসলো সে। সোফার সামনে থাকা ছোট টেবিল টার উপরে বড় এক বাটি কাঁঠালের কোষ দেখে সাইয়ারা জানালো, কাঁঠাল তার প্রিয় ফল। শুনে অন্তরা আহম্মেদ বেশ খুশি হলেন৷ তাকে কাঁঠাল খেতে বললেন। সাইয়ারা খাওয়া শুরু করলে মিন্নী জানায়, তার কাঁঠাল পছন্দ নয়। শুধু তার নয়, মেঘেরও পছন্দ নয়। অন্তরা আহম্মেদ একটু গম্ভীর স্বরে বললেন- তোদের রুচি ঠিক নেই তাই। কত্ত মজার একটা ফল কাঁঠাল! মজার না হলে নিশ্চয় জাতীয় ফল হত না? . তার সাথে তাল মিলিয়ে সাইয়ারা বলল- শুধুই যে মজার জন্য জাতীয় ফল এমন টা নয়। এর অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, কাঠাল প্রচুর পরিমাণের পুষ্টিকর ফল। রান্না ছাড়া অবস্থায় খেলে এর পুষ্টি উপাদান অবিবৃত অবস্থায় দেহে শোষিত হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে কাঁচা অবস্থায় ৯.৪ গ্রাম এবং পাকা অবস্থায় ১৮.৯ গ্রাম শর্করা, কাঁচা অবস্থায় ২.৬ গ্রাম এবং পাকা অবস্থায় ২.০ গ্রাম আমিষ, কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় ১.১ গ্রাম খনিজ লবন এবং যথেষ্ট পরিমান ভিট

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ১০)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_১০ Saji Afroz . মেঘের ফ্যাকাসে মুখটা দেখে হো হো শব্দে হেসে উঠল হুরায়রা। তাকে এভাবে হাসতে মেঘ এই প্রথমবার দেখছে। কি সুন্দর ভাবে হাসতে পারে মেয়েটি! আজ না দেখলে জানতোই না মেঘ। হুরায়রা হাসি থামিয়ে বলল- ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মেয়েটি আমিই ছিলাম। . মেঘ মুগ্ধ দৃষ্টিতে হুরায়রার দিকে তাকিয়ে বলল- আরেকবার শব্দ করে হাসবেন? আপনার হাসি টা অদ্ভুত সুন্দর! . হুরায়রা হাসলো না। গম্ভীরমুখ নিয়ে হাঁটতে শুরু করলে মেঘও হাঁটতে লাগলো তার পাশেপাশে। এই হাসি এই মুখ ভার! কেমন যেন মেয়েটা। তাকে বুঝে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মেঘের। দুজনেই নীরব। পাশাপাশি হঁাটছে কিন্তু কোনো কথা বলছে না। প্রিয় মানুষ টা এত কাছে থাকলে কথা না বলে থাকা যায়? মেঘের মনে হচ্ছে তার মুখটা তো কথা বলার জন্য লাফালাফি করছে। সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে রাখলেও এখন কাজ হবে না! -আমাকে বন্ধু বলে পরিচয় করিয়ে দেন মানুষের কাছে অথচ পাশে থাকলে কাজের ছেলের পাত্তাও দেন না। কেনো বলুন তো? -কাল আমিই কিন্তু আপনাকে চা বানিয়ে খাইয়ে ছিলাম। -সেটাও মন থেকে নয়। খালা কে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য খুশি হয়ে... মেঘ থেমে গেল। চা এর কথা উঠতেই ত

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৯)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_৯ Saji Afroz .  রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকতে থাকতে মদ খাওয়া ছিল জিকোর অভ্যেস। মদ খেয়ে বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতো। শারীরিক পরিবর্তন হবার পর থেকে এসব আর সম্ভব হচ্ছে না। হাতে তেমন টাকাও নেই যে মদ কিনে নষ্ট করবে। তবে একটা সিগারেট তো খাওয়াই যায়? আর না ভেবে বাড়ির বাইরে এল জিকো। রাত কম হয়নি। একটা বাজতে চললো। এই রাতে দোকান খোলা থাকে না। কিন্তু কিছু দোকান খোলা থাকে তাদের মতো ছেলেদের জন্য। তাদের তৃপ্তি মেটানোর জন্যই যেন সারারাত দোকান গুলি খোলা থাকে। এসব দোকানের খোঁজ জিকো জানে। তবে বেশ দূরে। এতদূর হেঁটে যেতে তার ইচ্ছে না করলেও হাঁটতে শুরু করলো। কিছুদূর যেতেই তার দিকে একজন কে এগিয়ে আসতে দেখছে জিকো। লোকটির হাঁটার ভঙ্গিই বলে দিচ্ছে তার পকেটে সিগারেট ও দিয়াশলাই আছে।  একই ঘাটের মাঝি তো, বুঝতে অসুবিধে হবার কথা না! লোকটি পাশে চলে আসতেই জিকো তাকে থামতে বলল। শ্যামবর্ণের মোটাসোটা লোকটি থেমে জিকোর দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।  জিকো তাকে সিগারেট ও দিয়াশলাই আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি অবাক হলেন না। অথচ তার অবাক হবার প্রয়োজন ছিল। একজন ম

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৮)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_৮ Saji Afroz . হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির প্রথম ঝাপটায় হুরায়রা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। চায়ের দোকান গুলোও খোলা ছিল। এখন বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে। দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।  আশেপাশে কোনো মানুষ নেই। বৃষ্টি পড়লে নদীর পাড়ে সহজে মানুষ আসে না। তাই দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। হুরায়রা দেখতে পেল, খুঁটিতে বাঁধা দু'টি গরু আছে। মনে হচ্ছে একটি মা গরু আরেকটি তার বাচ্চা। গরু গুলোকে দেখে হুরায়রার নিজেকে একা মনে হচ্ছে না। এদের মালিক না আসা পর্যন্ত এখানে সময় কাটাবে ভেবে নিলো সে। যদিও হুরায়রা ছাতা আনেনি।  তাই সে ভিজে যাচ্ছে । তবুও তার ভালো লাগছে৷ পরে না হয় একটা গাড়ি ঠিক করে চলে যাবে। এখন সে এখানেই থাকতে চায়। বৃষ্টির দিনে নদীর সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা। -এই বৃষ্টিতে আপনি এখানে? . পেছনে ফিরে মেঘকে দেখে অবাক হলো হুরায়রা। আজ এখানে সে মেঘের দেখা পাবে ভাবেনি। হুরায়রা কাতান কাপড়ের একটি সালোয়ার কামিজ পরেছে। তাই বৃষ্টিতে ভিজলেও তার শরীরের কোনো অংশ বোঝা যাবে না। এই ব্যাপারে নিশ্চিত সে। তবুও মেঘ কে দেখে নিজের শরীরের ওড়না ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মেঘ তার অবস্থা বুঝতে পেরে চোখ সরিয়ে

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৭)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_৭ Saji Afroz . আজ মেঘ ও সাইয়ারা তাদের পরিবারের সাথে প্রতিবেশি মোফাজ্জল হকের মেয়ের বিয়েতে এসেছে। আনন্দ নগর কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের এক বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। চারদিক চোখ ধাধানো লাইটিং এর আলোতে আলোকিত হয়ে আছে। রাত বলে এসব আরো ফুটে উঠেছে। মেঘ এখানকার খুব একটা মানুষকে চিনেনা। কিন্তু দুইবছর থেকেই সাইয়ারা এলাকার প্রায় সবাই কেই চিনে। সে নিজের মতো ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথাবার্তা বলছে। মেঘ চুপচাপ একপাশে বসে আছে। মা ও মিন্নীও পাশে নেই। এখানে আসার তার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। মায়ের জোরাজোরি তে আসতে বাধ্য হয়েছে। অচেনা সব মানুষের ভিরে থাকতে তার মোটেও ভালো লাগছে না। তবে সাইয়ারার ছুটাছুটি দেখতে ভালো লাগছে। মেয়েটা কত সহজেই মানুষ কে আপন করে নেয়! আজ সে হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরেছে। ওড়না টা ধবধবে সাদা। মনে হচ্ছে এই জামাটি কেবল সাইয়ারার জন্যই বানানো হয়েছে।  বেশ সেজেগুজে এসেছে মেয়েটি৷ চুলে খোপা করেছে। খোপায় গোলাপি রঙের গোলাপ ফুল দিয়েছে। মেঘ গুনে দেখলো, তিনটে গোলাপ দিয়েছে সে। নাকে ছোট্ট একটা নথ পরেছে, কানে ঝুমকো আর দু'হাতেই অসংখ্য চুড়ি। বেশ ভালোই লাগছে সাইয়ারা কে। স্ট

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৬)

Image
Saji Afroz - সাজি আফরোজ #মেঘের_শহর #পর্ব_৬ . মেয়েটির কথা শুনে ঘামতে শুরু করলো জিকো। চুরি করার দায়ে তাকে পুলিশের কাছে পাঠানো হবে কি? মনে হয় না! কাপড় চুরির দায়ে কাউকে পুলিশ ধরেছে এমনটা শুনেনি। তবে গণধোলাই খেতে শুনেছে।  এই মেয়েটি কি চেঁচামেচি করে মানুষ জড়ো করবে? মেয়েটি বকবক করেই চলেছে। জিকো এতক্ষণ পর নজর দিলো তার দিকে। রাগে মেয়েটির ফর্সা গালটি লাল হয়ে গেছে।  লজ্জা পেলে মুখ লাল হয়ে যায় এটা জিকো শুনেছে। রাগলেও যে হয় তার জানা ছিল না।  ছেলে হয়ে থাকলে মেয়েটির বকা খেয়ে এতক্ষণে সে প্রেমে পড়ে যেত। কিন্তু এখন সে মেয়ে। তাই এসব ভাবাও ঠিক নয়। জিকো কিছু বলতে চাইলে তাকে বলার সুযোগ দিলো না মেয়েটি। সে কোন তলায় থাকে গম্ভীরমুখে জানতে চাইলো। আরো জানালো, এটার বিচার সে বাড়িওয়ালা কে দিবে। জিকো ঘাবড়ে গেল। বাড়িওয়ালা বড্ড রাগি একজন মানুষ৷ এর আগে কম্বল চুরির দায়ে একজন ভাড়াটিয়া কে তিনি বাড়ি ছাড়া করেছিলেন অর্ধেক মাসেই। এখন যদি জিকো কেও বাড়ি ছাড়া হতে হয়! এই মুহূর্তে তার কাছে এত টাকা নেই যে, সে অন্য একটি বাড়ি জোগাড় করতে সক্ষম হবে। কারণ নতুন বাড়ি ভাড়া নেওয়া মানেই অগ্রিম কয়েকমাসের টাকা দেওয়া। জিকো তার ভুল স্বীকার করে মে

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৫)

Image
মেঘ ও অন্তরা আহম্মেদের সামনে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে সাইয়ারা। তার চোখেমুখে অপরাধীর ছাপ বিদ্যমান। সেই কতক্ষণ আগেই মেঘ তাকে সত্যিটা স্বীকার করতে বলেছে। কিন্তু সে কিছু না বলে চুপচাপ মেঝের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। হঠাৎ অন্তরা আহম্মেদ পেট ধরে বলে উঠলেন, তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করছেন। মেঘ উত্তেজিত হয়ে বলল, দুপুরে না খাওয়ার ফল এটা। তিনি বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকতে পারেন না। আর জেদ না করে খেয়ে নিতে। এবার সাইয়ার চোখ তুলে মুখ খুললো- আন্টি আমি মজা করেছি। আপনি খেয়ে নিন প্লিজ! . সাইয়ারা সত্যি টা স্বীকার করতেই মিন্নী বলল- ঠিক এইভাবেই সাইয়ারা আপু মায়ের কাছে নানাভাবে বকা শুনিয়েছে আমাকে। আজ মা ওকে কিছু কথা শুনিয়ে দাও। কেনো আমাদের বিরুদ্ধে সে কান ভারি করে তোমার! . মিন্নীকে থামিয়ে অন্তরা আহম্মেদ সাইয়ারা কে কাছে ডাকলেন। সাইয়ারা তার পাশে এসে বসলো। তিনি সাইয়ারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বেশ অবাক হয় সাইয়ারা! ভেবেছিল অন্তরা আহম্মেদ তাকে কটু কথা শোনাবেন, বকাঝকা করবেন। কিন্তু এমন কিছুই তিনি করলেন না। বরং সাইয়ারাকে তিনি ভালোভাবে বোঝালেন, এসব ঠিক নয়। সে যেন এমন আর না করে।  সাইয়ারা নিজের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হলো। সবার কাছে ক্ষম

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৪)

Image
#মেঘের_শহর #পর্ব_৪ Saji Afroz  য়নায় তাকানোর আগেই মোখলেসের কণ্ঠস্বর তার কানে ভেসে আসলো- জিকো কোথায়? আমি ভেবেছি ও দরজা খুলেছে। আমি ওর বন্ধু। . মোখলেসের কথা শুনে আয়নায় নিজেকে দেখার আর প্রয়োজন মনে করলো না জিকো। সে মোখলেস কে ভেতরে আসতে বলল।  সত্যিটা সে জানালো না। কি লাভ হবে জানিয়ে? কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। করলেও তার জীবন নিয়ে উপহাস করবে। . জিকোর দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে মোখলেস বলল- আপনি কি ওর বোন? চেহারায় মিল আছে কিছুটা। -হুম। -তবে লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পরে আছেন কেনো? আর জিকোই বা কোথায়? -আসলে আমি রাগ করে গ্রামের বাড়ি থেকে চলে এসেছি। কাপড়চোপড় আনা হয়নি। ভাইয়া ওখানেই আছে একটা কাজে। -ও আচ্ছা! আপনার নাম? . নাম জিজ্ঞাসা করতেই জিকোর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। কোনো মেয়ের নাম বলতে হবে তার। কিন্তু এই মুহূর্তে একটা মেয়ের নামও জিকোর মাথায় আসছে না। ভাবতে লাগলো সে কি বলবে। . মোখলেস আবারো জিজ্ঞাসা করলে সে বলে দিলো- জেসিকা। -বাহ! সুন্দর নাম৷ তা এই সুন্দর নামের সুন্দরী রমনী টা কি সুন্দর করে এক কাপ চা বানাতে পারবে? -জি। . ছোট্ট রান্নাঘর টায় চা বানাতে এল জিকো। চোখ জোড়া বন্ধ করে ল

মেঘের শহর - সাজি আফরোজ (পর্ব ৩)

Image
মিন্নী ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাগানের দিকে হাঁটতে যায়। এই বাগান ঘিরে শত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছোট বেলায় ভাই এর সাথে এখানে খেলাধুলা করে সময় কাটাত। আর এখন ঘুম ভাঙলেই হাঁটতে আসে সে। বাগানটিতে নানাধরণের ফুল ও ফলের গাছে ভরে আছে। সে হেঁটে হেঁটে স্মৃতি চারণ করতে লাগলো। আগে কত মধুর ছিল সময় গুলো। আর এখন? ভাই এসেছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। কিন্তু একসাথে বসে দুই মিনিট কথাও বলেনি তারা।   এসব মনে পড়তেই মিন্নীর মনটা খারাপ হয়ে গেল। ধীরপায়ে এগিয়ে গেল সে ভাই এর রুমের দিকে। . মেঘ কে বেঘোরে ঘুমোতে দেখে সে আর ডাকল না। বাড়িতে আসলেই ঘুম থেকে উঠতে উঠতে তার বেলা গড়িয়ে যায়। মিন্নীরও ক্লাসের সময় হয়ে এসেছে। সে দরজাটা ঠেলে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যায়। ফিরে এসেই নাহয় কথা বলা যাবে। . সাইয়ারা বিছানায় আধশোয়া হয়ে সমরেশ মজুমদারের কালবেলা উপন্যাসটি পড়ছে। এটি তার প্রিয় উপন্যাস। সময় পেলেই সে উপন্যাসটির কয়েক পাতা হলেও পড়তে চেষ্টা করে। যতবার পড়ে ততবার যেন চরিত্রগুলোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে সে।   আর ভাবে, কবে আসবে তার জীবনে এমন একজন? যে তাকে ভালোবাসার সাগরে ডুবিয়ে রাখবে! . . বাড়ির সব কাজ শেষে ছাতা হাতে বেরিয়ে পড়ল হুরায়রা। আজ ছেলেটিকে